শুক্রবার (২৫ আগস্ট) রাজধানীর মিরপুর, কারওয়ানবাজার, মতিঝিল এলাকা ঘুরে দেখা যায় এ চিত্র।
বাজারে আলু ২৫ থেকে ৩০, পটল ৬০ থেকে ৭০, বরবটি ৩০, কাকরোল ৬০, গোল বেগুন ৬০ থেকে ৭০, লম্বা বেগুন ৮০ থেকে ৯০, ঢেঁড়শ ৫০ থেকে ৬০, সিম ১৩০ থেকে ১৪০, শশা ৬০ থেকে ৭০, ধনেপাতা ১৫০ থেকে ১৬০, মিষ্টি কুমড়া ৪০, মরিচ ১০০, চিচিঙ্গা ৭০ থেকে ৮০ এবং মূলা ৪০ টাকা দরে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে।
আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ক্রেতাদের চোখ এখন সবজির বাজারের দিকে। এই কারণে মাংসের বাজার খালি এবং সবজির বাজারে ক্রেতাদের ব্যপক পরিমাণ ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
এছাড়া ঈদের কারণে রাস্তায় যানজট সৃষ্টি হয়ে রাস্তাতেই বেশিরভাগ সবজি নষ্ট হচ্ছে। ফলে দাম কমছে না বলেও জানান পাইকারি সবজি বিক্রেতারা।
মিরপুর ১ নম্বরের পাইকারি বাজারের সবজি বিক্রেতা আশফাক বাংলানিউজকে জানান, কিছুদিন আগে টানা বৃষ্টি আর এখন শুরু হয়েছে ঈদকে কেন্দ্র করে রাস্তার যানজট। এই দুই কারণেই সবজি রাস্তাতেই নষ্ট হচ্ছে। ফলে দাম কমছে না।
কারওয়ানবাজারের খুচরা বিক্রেতা শহীদ বলেন, সবজির বাজারে এখন ক্রেতাদের ব্যাপক চাপ। সামনে কোরবানির ঈদ। তাই মানুষ এখন সবজির দিকেই বেশি ঝুঁকছে। আর পাইকারি বাজারে দাম না কমলে আমাদের কিছু করার নেই।
আবার সবজির দামের ভিন্নতা দেখা গেছে কিছু কিছু বাজারে। মিরপুর এলাকায় সবজির দাম উল্লেখিত হারে থাকলেও মতিঝিল এলাকার দিকে প্রায় সবজির দাম ২ থেকে ৫ টাকা হারে বেশি দেখা গেছে।
কারণ জানতে চাইলে সেগুনবাগিচা কাঁচা বাজারের সবজি বিক্রেতা আশিক বাংলানিউজকে জানান, ঈদের কারণেই পাইকারি বাজার থেকে সবজি যারা পরিবহন করে এনে দেয় তাদেরকে আগের থেকে বেশি টাকা দেয়া লাগছে। এ কারনেই দাম কিছুটা বেশি।
এ বিষয়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আজিজুল ইসলাম বলেন, ঈদ আসলে সব কিছুরই দাম বেড়ে যায়। বাজারে বোনাসের নামে বিক্রেতারা অতিরিক্ত টাকা নিতে চায়। এ কারণেই দাম বাড়ে। আর কোরবানির ঈদের সময়তো মাংস খাওয়া হবে বেশি। তাই বাসার সবাই এখন সবজি খেয়ে মাংস খাওয়ার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৭
এমএএম/বিএস