কোরবানির ঈদ যতোই ঘনিয়ে আসছে, ততোই বিভিন্ন বাজারে বাড়ছে এসব ব্যবসায়ীর কর্মব্যস্ততা। কামারশালায় চলছে দা, ছুরি ও চাপাতি তৈরি ও শান দেওয়ার কাজ।
তবে গত বছরের তুলনায় সব ধরনের পণ্যের দামই বেশি বলে জানান ক্রেতারা।
কামাররা জানান, কাঁচা মালের দাম বেড়ে যাওয়ায় ছুরি, চাপাতির দাম এ বছর বাড়াতে বাধ্য হয়েছেন তারা। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চাপাতি, ছুরি, দা বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে। প্রতিটি ছোট ছুরি ১০০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা, বড় বটি ৩০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা, পশু জবাই করার ছুরি মানভেদে ৩০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কোরবানির পশুর মাংস কাটার জন্য অপরিহার্য হচ্ছে গাছের গুঁড়ি। মৌসুমী ব্যবসায়ীরা চিরিরবন্দর, রানীরবন্দর, দেবীগঞ্জ থেকে তেঁতুল কাঠের গুঁড়ি এনে মোড়ে মোড়ে ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসেছেন। প্রতিটি গুঁড়ি ৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে গোখাদ্যের উপকরণ ঘাস ও খড়ের আঁটি দাম বেড়েছে কয়েকগুণ। খৈল, ভুষি, ভুট্টাসহ বিভিন্ন শষ্যের মিশ্র ভুষির দামও বেড়েছে। কাঁঠাল পাতা থেকে শুরু করে চালের গুঁড়া, চোকর ইত্যাদির দামও আকাশছোঁয়া। ফলে অনেকে আগেভাগে কোরবানির গরু ও খাসি কিনে বেকায়দায় পড়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১৭
এএসআর