ক্ষোভে-দুঃখে কথাগুলো বলছিলেন কৃষক সিরাজ মিয়া। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ভোলাব ইউনিয়নের ইটালিয়ান সিটির বালুর মাঠের অস্থায়ী পশুর হাটে দু’টি ষাঁড় গরু বিক্রি করতে এনেছিলেন তিনি।
হাটের ইজারাদার হাবিবুর রহমান মিল্টন বাংলানিউজকে জানান, কোরবানির ঈদের আর মাত্র চারদিন বাকি আছে। হাটে তেমন ক্রেতা নেই। পর্যাপ্ত সংখ্যক গরু-ছাগল উঠলেও বেচা-কেনার ভাব ভালো দেখছেন না তারা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, এ হাটে উপজেলার চারিতালুক, ভোলাব, পূবেরগাঁও, বাসুন্দা, পাইশকা, ডাঙ্গাসহ আশেপাশের এলাকার ফার্ম ও কৃষকদের পালন করা গরু-ছাগল উঠেছে।
কৃষকরা অতিরিক্ত খরচ করে মুনাফার উদ্দেশ্যে কোরবানির পশু পালন করে বিক্রি করতে এনেছেন। অন্যদিকে দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলাসহ ভারত থেকে পশু আমদানি করে উপজেলার বিভিন্ন হাটে উঠিয়েছেন ব্যাপারীরা। বিশেষ করে ভারতীয় গরুর কারণে এ হাটে এলাকার কৃষকরা খরচের তুলনায় ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না। এজন্য ক্ষোভ প্রকাশ করছেন তারা।
গরু কিনতে আসা ডা. আব্দুল কবির বলেন, ‘আমাদের এলাকার কৃষকদের গরু নির্ভেজাল। দাম একটু বেশি হলেও ভেজালমুক্ত। এ এলাকার মানুষ শখ করেই গরু-ছাগল পালন করেন’।
অন্য হাটগুলোতেও পর্যাপ্ত সংখ্যক কোরবানির পশু উঠিয়েছেন ব্যাপারীরা। তবে পশুর তুলনায় ক্রেতা খুবই কম।
মানুষের সুবিধার চিন্তা করে এবারের কোরবানির ঈদে আটটি স্থানে অস্থায়ী পশুর হাটের অনুমোদন দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। টেন্ডারের মাধ্যমে এসব হাটের ইজারাদার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অনুমোদিত হাটগুলো হলো- ভোলাব ইউনিয়নের ইটালিয়ান সিটির বালুর মাঠ, পলখান উচ্চ বিদ্যালয়ের পেছনের ফাঁকা জায়গা, ভুলতা স্কুল অ্যান্ড কলেজের পূর্বদিকের খালি মাঠ, বেলদি ফাজিল মাদ্রাসার দক্ষিণ দিকের ফাঁকা মাঠ, মুড়াপাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ সংলগ্ন আমবাগান, কায়েতপাড়া শীতলক্ষ্যা নদীর ব্রিজ সংলগ্ন বালুর মাঠ, এইচ আর মডেল হাইস্কুল সংলগ্ন বালুর মাঠ ও ইছাপুরা পশুর হাট।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুল ফাতেহ মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রতিটি হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সুবিধায় পর্যাপ্ত সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যও নিয়োজিত করা হয়েছে। বিশেষ করে ছিনতাইকারী, চোর, ডাকাত, প্রতারকচক্র, জাল টাকা রোধে কাজ করে যাচ্ছেন তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৭
এএসআর