মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) জেলার বিভিন্ন পশুর হাট ঘুরে উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। তবে বিক্রেতারা দাম কম পাচ্ছেন বলে দাবি করলেও উচ্চমূল্যের কারণে পশু কিনতে বেগ পোহাতে হচ্ছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।
জেলার লক্ষীপুর হাটের খামারি সোন্তাজ আলী বাংলানিউজকে বলেন, এবারের হাটে ক্রেতার চেয়ে বিক্রেতা বেশি। সে কারণে সঠিক দাম পাওয়া যাচ্ছে না।
বিক্রেতা আমজাদ হোসেন বলেন, ৯০ হাজার টাকার গরু দাম বলা হয়েছে ৬০/৭০ হাজার টাকা। একটি গরুকেই এ পর্যন্ত তিনদিন হাটে আনতে হয়েছে। লাভ তো দূরের কথা, কেনা দামই দিতে চাচ্ছেন না ক্রেতারা।
ঐতিহ্যবাহী দাড়িয়াপুর হাটের ক্রেতাদের অভিযোগ, গরু কিনতে গিয়ে দালালদের খপ্পরে পড়তে হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের। এ হাটে দালাল ছাড়া গরু কেনার উপায় নেই।
প্রায় সবগুলো হাটেই এভাবে দালাল চক্রের ফাঁদে পড়ে বেশি দামে পশু কিনতে বাধ্য হচ্ছেন ক্রেতারা।
দাড়িয়াপুর হাটের ইজারাদার আরিফ মিয়া বলেন, হাটে পর্যাপ্ত কোরবানির গরু-ছাগল উঠলেও ক্রেতার সংখ্যা কম। এ কারণে দাম ও বিক্রি কিছুটা কম। তবে পরের হাটগুলোতে সঠিক দামে পশু বিক্রি বাড়বে।
তবে দালাল চক্রের বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, এ হাটে দালালদের কোনো স্থান নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৭
এএসআর