অনুসন্ধানে জানা যায়, সরকারি ২৭টি কারখানা দেখভালের দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশনের (বিজেএমসি) প্রায় ১ হাজার কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বোনাস দেওয়া হয়েছে, কিন্তু বেতন হয়নি। আর বিজেএমসির দেখভালে থাকা কারখানার (স্থায়ী ও অস্থায়ী) ৬০ হাজার শ্রমিকের এখনও বেতন দেওয়া হয়নি।
ঈদের বেতন-বোনাস পরিশোধের বিষয়ে সরকারি পাটকল প্রতিষ্ঠান বিজেএমসির পরিচালক (ফিন্যান্স) মো. ফেরদৌস আলম বাংলানিউজকে বলেন, বিজেএমসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৩০ কোটি টাকা বোনাস দিয়েছি। কিন্তু টাকার অভাবে বেতন দিতে পারিনি।
কারণ সম্পর্কে বলেন, এখন পাট বিক্রির অফ সিজন। সেপ্টেম্বর থেকে পাটপণ্য বিক্রির মৌসুম শুরু হবে। আশা করি তখন বিজেএমসির সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতনের পাশাপাশি শ্রমিকদের বেতনও পরিশাধ করা হবে।
সরকারি-বেসরকারি মিলে পাট সেক্টরে মোট ২৮৭টি ছোট-বড় কারখানা রয়েছে। এর মধ্যে বেসরকারিখাতের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিজেএমএ)। প্রতিষ্ঠানটির ১৬৬টি কারখানা দেখভাল করে। তাদের কাছে কারখানাগুলো ঈদের বেতন-বোনাস দিয়েছে কিনা তার কোনো তথ্য নেই।
এখানে অন্তত ৩০-৩৫টি কারখানায় শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেয়নি বলে জানা যায়। তবে তাতে শ্রমিকদের সংখ্যা ২০ হাজারেরও বেশি।
২০০৬ সাল থেকে বিজেএমএ সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করে আসা বারিক খান বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানের সব কর্মকর্তার বেতন ও বোনাস দেওয়া হয়েছে। কারখানাগুলোতে শ্রমিকদের চাহিদা পূরণ করা হয়েছে।
কয়টি কারখানার শ্রমিককে ঈদের বেতন ও বোনাস শ্রমিকদের পরিশোধ করা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোনো কারখানার শ্রমিক বেতন-বোনাস পায়নি বলে এখনো অভিযোগ করেননি। এমনকি কেউ ফোনও করেননি। তার মানে সব প্রতিষ্ঠান বেতন-বোনাস দিয়ে দিয়েছে।
কোন কারখানা কত টাকা শ্রমিকদের পরিশোধ করেছে এর কোনো তথ্য কিংবা পরিসংখ্যান রয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের কাছে কোনো পরিসংখ্যান নেই। আমার জানাও নেই।
কাঁচাপাট রপ্তানিকারক ও ব্যবসায়ীদের সংগঠনটির সেক্রেটারি আব্দুল কাইয়ুম বলেন, আমাদের তিনটি অফিসের মধ্যে খুলনা অফিসের কর্মকর্তাদের বেতন-বোনাস দেওয়া হয়নি। কারখানাগুলোর অবস্থা আমার জানা নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৪ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৭
এমএফআই/এএ