বুধবার (০৬ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর মহাখালী কাঁচাবাজারে দেখা গেছে, সব ধরনের সবজির দাম যেন আকাশচুম্বী। কেজিপ্রতি ঢেঁড়স ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা থেকে ৮০ টাকা ও পটল ১০০ টাকা এবং হালিপ্রতি লেবু ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকা দাম হাঁকছেন বিক্রেতারা।
ঈদের পর স্বাদে কিছুটা ভিন্নতা আনতে ক্রেতারা ছুটছেন মাছের দিকে। এ সুযোগে বিক্রেতারাও মাছের চড়া দাম হাঁকছেন। প্রতি কেজি রুই ২০০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা, বড় পুঁটি ১৮০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা, বোয়াল ৩৫০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা ও শিং মাছ ৩০০ টাকা থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সবজি ও মাছের এমন বাড়তি দামের পেছনে পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকাকে দায়ী করছেন বিক্রেতারা। সবজি বিক্রেতা ইব্রাহীম বাংলানিউজকে বলেন, ‘ঈদের পর রাস্তায় জ্যাম। সবজির ট্রাক আসতেছে না। বাজারে সরবরাহ কম। তাই দামও বেশি’।
মাছ বিক্রেতা মোনেম বলেন, ‘বাজারে চাহিদার তুলনায় মাছ কম। আমাদের পাইকারি কিনতে হচ্ছে বেশি দামে, তাই বিক্রিও করতে হচ্ছে বাড়তি দামে। লসেতো আমরা বিক্রি করতে পারবো না’।
কিন্তু এতে নাজেহাল হতে হচ্ছে ক্রেতাদের। ক্রেতা রুবেল আহমেদ বলেন, ‘১৩০ টাকা কেজি টমেটো ও ১০০ টাকা কেজি পটল কিনলাম। জিনিসের দাম এতো হলে আমাদের মতো মধ্যবিত্তদের জন্য টেকাই কঠিন হয়ে যাবে’।
অন্যদিকে সব ধরনের চালের দামও বেড়েছে। মিল মালিকরা চালের দাম ইচ্ছামতো বাড়ানোয় বাড়তি দাম নিতে হচ্ছে বলে দাবি করেছেন চাল বিক্রেতা মোজাম্মেল হক।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘মিনিকেট চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৪ টাকা। আগের ৫৫ টাকা থেকে ৫৬ টাকার চাল বিক্রি করছি ৬০ টাকায়। নাজিরশাইলের দামও কেজিতে ১ টাকা বেড়ে এখনকার দাম ৬০ টাকা। আটাশ চাল আগে ছিলো ৫০ টাকা, এখন হয়েছে ৫২ টাকা কেজি’।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০১৭
ইউএম/এএসআর