শহরের শুধু ঋষিপাড়া এলাকাতেই কেনা হয়েছে প্রায় দুই হাজার কোরবানির পশুর চামড়া। যা ভালো রাখতে শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বাড়তি শ্রম-ঘাম দিয়ে যাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।
সরেজমিনে ঋষিপাড়ায় গেলে ব্যবসায়ীরা জানান, ৪৫-৫০ টাকা ফুট দরে গরুর চামড়া কিনেছেন তারা। এখন বিক্রি করতে না পেরে লবণের ব্যবহারে অতিরিক্ত টাকা গুণতে হচ্ছে তাদের। কারণ, লবণের দাম বেড়ে কেজিপ্রতি ২২-২৩ টাকায় দাড়িয়েছে। একটি গরুর চামড়াতেই ব্যবহার করতে হয় সাত কেজির বেশি লবণ। শেষ পর্যন্ত চামড়া বিক্রি হলেও পুষিয়ে উঠতে পারবেন কি-না, তা এখনও অনিশ্চিত।
চামড়া ব্যবসায়ী অজিত ঋষি বাংলানিউজকে বলেন, ‘ছয় শতাধিক গরুর চামড়া কিনেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত ঢাকার কোনো ট্যানারি মালিকের সঙ্গে কথা বলে বিক্রি করতে পারিনি’।
আল আমিন বলেন, ‘গত বছরের ঈদেও তিন লাখ টাকার চামড়া কিনে লোকসান হয়েছিল। কি করবো, বাপ-দাদার ব্যবসা? তাই চামড়া কিনেছি এ ঈদেও। কিন্তু বিক্রি না হওয়ায় গত বছরের মতো এবারও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কায় আছি’।
তোতা মিয়া বলেন, ‘এক হাজার গরুর চামড়া কিনেছি। চামড়া ঠিক রাখতে শুরু থেকে লবণ দিয়ে যত্ন করে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। বিক্রির আশায় এভাবে কতোদিন রাখবো?’
নেত্রকোনা-আমতলা ও বারহাট্টা সড়কের পাশের এ ঋষিপাড়ায় চামড়া সংরক্ষণের ফলে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ায় অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে নাকে-মুখে কাপড় চেপে চলাচল করছেন পথচারীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১৭
এএসআর