তিনি বলেন, একদিকে লবণের দাম বেশি অন্যদিকে পাইকারী আড়তে চামড়ার দাম কম থাকায় চামড়া নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন তিনি।
এদিকে কোরবানির ৮দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো কেউ চামড়া বিক্রি করতে পারেননি।
ভোলা জেলা সদরসহ ৭ উপজেলায় শতাধিক চামড় ব্যবসায়ী ও অর্ধশতাধিক আড়ৎ থাকলেও এ বছর এখনো চামড়া বেচা-কেনা জমে উঠেনি। শুরুতে বেশি দাম দিয়ে চামড়া কিনে সেই দাম পাবেন কি না তা নিয়ে চরম অনিশ্চিয়তা দেখা দিয়েছে তাদের ব্যবসায়।
ব্যবসায়ীরা জানায়, গত বছর যে চামড়ার দাম ছিল প্রতি পিস ৩০০-৩৫০ টাকা, এ বছর সেটা কিনতে হয়েছে ৫০০ টাকা দরে। এর মধ্যে লবণ ও শ্রমিক খরচ মিলিয়ে চামড়ার দাম পড়েছে প্রায় ৭০০ টাকা। কিন্তু পাইকারী বাজারে চামড়ার দাম প্রায় ৭০০-৮০০ টাকা। এতে লাভ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
ব্যবসায়ীরা আরো জানায়, গত বছর প্রতি বস্তা লবণ ছিল ১২শ’ টাকা যা বর্তমানে ১৫’শ টাকা। চামড়া ও লবণের দাম সমান তালে বেড়ে যাওয়ায় লাভ তো দুরের কথা লোকসান গুণতে হবে অনেক ব্যবসায়ীকে।
ভোলা শহরের কালিনাথ রায়ের বাজারে চামড়ার আড়ৎ ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা লবণ দিয়ে চামড়া প্রস্তুত করছেন। ঈদের পর ৮ দিন কেটে গেলেও অনেকেই চামড়া বিক্রি করেননি। গত বছর এমন দিনে চামড়ার কেনা-বেচা জমে উঠলেও লোকসানের চিন্তায় অনেকেই চামড়া বিক্রি করছেন না।
চামড়া আড়ৎদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইউসুফ বাংলানিউজকে বলেন, গত বছর লোকসান হওয়াতে এ বছর মাত্র ৩৫০টি চামড়া কিনেছি, পাইকারী আড়তে এখণ দাম কম থাকায় বিক্রি না করে আড়তেই মজুদ রাখা হয়েছে। বাজারে দাম বাড়লে বিক্রি করবো। না হয় লোকসান দিয়ে বিক্রি করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, বেশিরভাগ চামড়া ব্যবসায়ীর একই অবস্থা। লোকসানের চিন্তায় চামড়া বিক্রি না করে মজুদ রেখেছেন তারা। তবে দুই মাসের মধ্যে চামড়া বিক্রি করতে না পারলে সব নষ্ট হয়ে যেতে পারে
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৭
টিএ