ভোক্তাদের তুমুল আগ্রহের জন্য এই নির্দিষ্ট সময়কালে ওয়াওবক্স লাইফস্টাইল অ্যাপের মাধ্যমে ভোক্তারা কোকা-কোলা সম্পর্কিত কনটেন্ট চ্যালেঞ্জে অংশ নিতে বিনামূল্যে ‘কোক জিরো ও স্প্রাইট জিরো’ জিতে নেওয়ার সুযোগ পাবেন।
এছাড়াও ঢাকা ও চট্টগ্রামের ভোক্তারা অনলাইনে এই অ্যাপের মাধ্যমে কোকা-কোলা ব্র্যান্ডের কোমলপানীয় অর্ডার করলে ফ্রি হোম ডেলিভারির সুবিধা পাবেন।
কোকা-কোলার নতুন চিনিবিহীন কোমলপানীয় কোক জিরোতে কোকা-কোলার সেই স্বাদ সম্পূর্ণ অটুট থাকবে এবং আরেকটি চিনিবিহীন কোমলপানীয় হচ্ছে স্প্রাইট জিরো, যার স্বাদ হবে ঠিক স্প্রাইটের মতো।
২০০৫ সালে সর্বপ্রথম যুক্তরাষ্ট্রে এই কোক-জিরো কোমলপানীয়ের বিপণন শুরু হয় যা খুবই অল্পসময়ের মধ্যে ভোক্তাদের মধ্যে জনপ্রিয়তা লাভ করে এবং পরবর্তীতে তা ধীরে ধীরে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে।
বর্তমানে বিশ্বের ১৬০টি দেশে এই পণ্যটির বাজারজাত হচ্ছে, এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের বাজারে প্রথমবারের মতো যাত্রা শুরু হচ্ছে বহুল প্রত্যাশিত এই কোমলপানীয়ের। বাংলাদেশের ভোক্তারা এখন থেকে এই ‘কোক জিরো ও স্প্রাইট জিরো’ তাদের হাতের নাগালেই পাবেন।
চলতি বছরের শুরুর দিকে কোকা-কোলা এ দেশে তাদের প্রথম সর্বোচ্চ মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদন কারখানা চালু করেছে, যা দ্বারা প্রমাণিত হয় যে বাংলাদেশের জন্য কোকা-কোলা কোম্পানির দীর্ঘ মেয়াদি প্রতিশ্রুতি রয়েছে।
কোকা-কোলার নতুন কারখানা প্রতিষ্ঠিত হবার ফলে দেশের বাজারে নতুন নতুন পণ্য নিয়ে আসার প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন ঘটছে। এই দেশের ভোক্তাদের কোকা-কোলা ব্র্যান্ডের পণ্যের কোক, স্প্রাইট, ফান্টা ও কিনলের প্রতি যে ক্রমবর্ধমান চাহিদা রয়েছে তা পূরণের বিষয়টি বিবেচনা করে কোক জিরো ও স্প্রাইট জিরো নিয়ে আসা হচ্ছে।
লাইফস্টাইল অ্যাপ ওয়াওবক্স, কোক জিরো ও স্প্রাইট জিরোর বিপণন কার্যক্রম উদ্বোধনের এক্সক্লুসিভ পার্টনার এবং অ্যাপটি তার ব্যবহারকারীদের সামনে শিগগিরই বাজারে আসবে এমনসব পণ্য সংক্রান্ত কনটেন্ট উপস্থাপন করে। চলতি সেপ্টেম্বর মাসে এই অ্যাপ ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দেড় মিলিয়ন বা ১৫ লাখ, তাই এই অ্যাপের মাধ্যমে ভোক্তারা সহজেই অর্ডার করতে পারবেন।
কোকা-কোলার এবারের বিপণন কার্যক্রমের শুরু সম্পূর্ণ ব্যতিক্রমধর্মী। কারণ কোকা-কোলা বাংলাদেশে এই প্রথম অ্যাপের মাধ্যমে দুটি নতুন পণ্য কোক-জিরো ও স্প্রাইট জিরো বাজারজাতকরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করল। এ ধরনের ব্যতিক্রমধর্মী বিপণন কার্যক্রম উদ্বোধন ভোক্তাদের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ততা তৈরি করে দেয়। পাশাপাশি জরিপ ও কুইজের আয়োজন থাকায় কোম্পানি তার পণ্য সম্পর্কে সরাসরি ভোক্তাদের মতামত, চাহিদা ও পছন্দের দিকগুলো জানতে পারে।
প্রাথমিক প্রমোশনাল কার্যক্রম শেষে অর্থাৎ ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে সারা দেশের বাজারে কোকা-কোলার অন্যান্য পণ্যের সঙ্গে কোক-জিরো এবং স্প্রাইট জিরো পাওয়া যাবে।
কোকা-কোলা বাংলাদেশের ব্যবস্থপনা পরিচালক (এমডি) শাদাব খান এ প্রসঙ্গে বলেন, কোকা-কোলার সেই একই অটুট স্বাদে সম্পূর্ণ চিনিবিহীন কোক-জিরো ও স্প্রাইট জিরোর উদ্বোধন সত্যিকার অর্থেই বাংলাদেশের কোমলপানীয়ের বাজারে একটি বৈপ্লবিক অভিযাত্রা। কোক-জিরো ও স্প্রাইট-জিরো চিনিবিহীন হওয়ায় ভোক্তারা এখন থেকে কোমলপানীয় পানের মাধ্যমে চিনি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন। আমরা আমাদের এই বিশ্বাস থেকেই কোক-জিরো ও স্প্রাইট-জিরো বাজারজাত করছি। বাংলাদেশের ভোক্তাদের জন্য যারা কোকা-কোলার অতুলনীয় ও অবিস্মরণীয় স্বাদের কোমলপানীয় ভালোবাসেন, তাদের অনেকেই কখনও কখনও চিনিবিহীন কোমলপানীয় পান করতে চান। সে জন্য আমরা এই নতুন পণ্য দু’টি নিয়ে এসেছি। বিশ্বব্যাপী কোকা-কোলা ভোক্তাদের চিনিবিহীন কোমলপানীয় পানের সুযোগ বাড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৭
এসএইচ