পাল্টাপাল্টি এ বক্তব্য নিয়ে সরকারের সাথে ব্যবসায়ীদের দুই ঘণ্টার বৈঠক ছিল উত্তেজনায় ভরা।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে তিন মন্ত্রী এবং সরকারের অামলাদের সঙ্গে চাল ব্যবসায়ীদের বৈঠক হয়।
ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন অংশকে নিয়েই বৈঠক করে সরকার।
শুরুতে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, ব্যবসায়ীদের মধ্যে দু'জন করে কথা বলতে পারবেন। সঙ্গে সঙ্গে তার প্রতিবাদ করেন ব্যবসায়ীরা। এক পর্যায়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল অাহমেদ ফ্লোর নিয়ে উত্তেজনা প্রশমিত করেন।
মিনিকেট চাল মেশিনে তৈরি হয় বলে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী প্রসঙ্গ তুললে অটো মেজর অ্যান্ড হাস্কিং মিল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অাব্দুর রশিদ এবং সাধারণ সম্পাদক লায়েক অালী প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, মেশিনে কেটে মিনিকেট তৈরি করা হয় না। এক প্রকার ধান থেকেই এই চাল হয়।
তখন একজন ব্যবসায়ী নেতা বলে উঠেন, অাপনার মতো বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তির মুখে এ কথা মানায় না। এ নিয়ে কয়েকজন থামিয়ে দেন তাকে।
ব্যবসায়ীদের একাংশের নেতা অটো রাইসমিল সমিতির সভাপতি খোরশেদ অালম কথা বলতে চাইলে তিন চার জন ব্যবসায়ী নেতা দাঁড়িয়ে থামিয়ে দেন তাকে। দু-একজনকে তেড়ে অাসতেও দেখা যায়।
চাল ব্যবসায়ীরা মজুত করেনি বলে কয়েকজন ব্যবসায়ী জোর করে কথা বলতে চাইলে থামিয়ে দেন খাদ্যমন্ত্রী।
সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে ব্যবসায়ীদের দাবি মেনে নিয়ে দুই ঘণ্টা পর বৈঠক শেষ হয় বেলা দু'টায়। তখন বাণিজ্যমন্ত্রী সভার সিদ্ধান্ত জানিয়ে সভা শেষ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৭
এমঅাইএইচ/জেডএম