অধিদফতর সূত্র জানায়, ২ কোটি ৩৮ লাখ গরু-মহিষ ও ২ কোটি ৬০ লাখ ছাগল-ভেড়াসহ দেশে প্রায় ৫ কোটি পশু ছিল। এর মধ্যে ৪৪ লাখ গরু-মহিষ ও ৬০ লাখ ছাগল-ভেড়া মিলিয়ে এবার এক কোটি চার লাখ পশু কোরবানি দেওয়া হয়েছে, গত বছর যে সংখ্যা ছিল এক কোটি ৫ লাখ।
অথচ এবার কোরবানির জন্য ১ কোটি ১৫ লাখ ৫৭ হাজার পশু প্রস্তুত ছিলো, যা চাহিদার তুলনায় বেশি। এর মধ্যে গরু-মহিষ ৪৪ লাখ ৫৭ হাজার ও ছাগল-ভেড়া ৭১ লাখ। কিন্তু দেশে বন্যার কারণে কোরবানি দিতে পারেননি অনেকে। বন্যা পরিস্থিতি অস্বাভাবিক না হলে পশুর চাহিদা সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ বাড়তো।
প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মুখপাত্র ডা. আব্দুল হালিম বাংলানিউজকে বলেন, গত বছরের তুলনায় কোরবানির পশুর বাজারমূল্যও ১০ শতাংশ বেশি ছিলো। গতবার যে গরু ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে, এবার সেই গরু ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে।
এবার গড়ে ছোট গরু ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা, মাঝারি গরু ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা এবং বড় গরু এক লাখ থেকে এক লাখ ২০ হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। অন্যদিকে মহিষ ৭০ থেকে ৮৫ হাজার টাকা ও ছাগল-ভেড়া গড়ে ১৫ হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৭
এমআইএস/এএসআর