ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড পেলো ৩৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৭
রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড পেলো ৩৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড পেলো ৩৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান, ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রবাসীদের উৎসাহিত করতে চতুর্থবারের মত দেওয়া ‘বাংলাদেশ ব্যাংক রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড-২০১৬’ পেয়েছেন ৩৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান।

মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বাংলা একাডেমী মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান প্রধানদের হাতে অ্যাওয়ার্ড ও  সম্মাননা সনদ তুলে দেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান।

প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, ‘বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানোর অপ্রয়োজনীয় বাধা দূর করতে আইন সংশোধন করা হবে।

প্রচলিত ধারার বাইরে দূতাবাসের কর্মকর্তাদের শ্রমিকদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে হবে। গতি বাড়াতে হবে। দূতাবাসগুলোতে শ্রমাবাসে পরিনত করতে হবে। প্রচলিত ধারার বাইরে দূতাবাসের কর্মকর্তাদের শ্রমিকদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে হবে। রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড পেলো ৩৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান, ছবি: ডিএইচ বাদলবাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ফজলে কবির বলেন, 'যারা আজ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন তারা ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রবাসে সাইলেন্ট কান্ট্রিবিউটর হিসেবে কাজ করবেন।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব নমিতা হালদার বলেন, প্রবাসীদের হুন্ডিতে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহ প্রদানকারী দালাল শ্রেণির বিরুদ্ধে শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বছরের মধ্যেই প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংককে রেমিট্যান্স পাঠানোর পথে নিয়ে আসা হবে।

স্টান্ডার্ড চার্টাড ব্যাংকের সিইও আবরার এ আনোয়ার বলেন, দেশে এসে কেনার কারণে অনেকে প্রবাসীই বন্ড কিনতে চান না। অনলাইনে বন্ড কেনার সুবিধা দিলে আসা যাওয়ার সময় অর্থ বাঁচবে।

আল হারমাইন গ্রুপের চেয়ারম্যান মাহতাবুর রহমান বলেন, প্রবাসীদের জন্য একটি ইপিজেড এলাকা করা হলে আরও বেশি বিনিয়োগ দেশে আসবে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ইউনুসুর রহমান, অগ্রণী ব্যাংকের এমডি শামস উল ইসলাম, সোনালী ব্যাংকের এমডি ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ, জনতা ব্যাংকের এমডি আব্দুস সালাম।

সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরী।

এবার চার ক্যাটাগরিতে ৩৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে। সর্বোচ্চ রেমিটেন্স প্রেরণকারী ২১জনকে, বন্ডে বিনিয়োগকারী ৫ জনকে, বিদেশি বাংলাদেশি মালিকানাধীন চারটি এক্সচেঞ্জ হাউজ ও শীর্ষ রেমিটেন্স আহরণকারী পাঁচ ব্যাংককে পুরস্কৃত করা হয়।

সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রেরণকারী ও বন্ডে বিনিয়োগকারী ব্যক্তিদের মধ্যে ১৭জন সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাস করছেন। অপর নয়জন যুক্তরাষ্ট্র, কুয়েত,জার্মানী, সিঙ্গাপুর, কাতার ও অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত রয়েছেন।

শীর্ষ রেমিটেন্স আহরণকারী ব্যাংকগুলো হচ্ছে পর্যায়ক্রমে ইসলামী ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড, অগ্রণী, সোনালী ও জনতা ব্যাংক। এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্লাসিড এনকে করপোরেশন, ইটালির ন্যাশনাল এক্সচেঞ্জ কোম্পানি, যুক্তরাজ্যের এনইসি মানি ট্রান্সফার ও যুক্তরাষ্ট্রের সানম্যান গ্লোবাল এক্সপ্রেস।

অনিবাসী বাংলাদেশিদের ফিন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন প্রক্রিয়ার আওতায় নিয়ে আসা এবং বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রেরণে উৎসাহিত করার জন্য প্রবর্তন করা হয়েছে “বাংলাদেশ ব্যাংক রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড”।

এ অ্যাওয়ার্ডের আওতায় সর্বপ্রথম ২০১৪ সালে ব্যাংকিং চ্যানেলে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রেরণকারী ২০ জনকে এবং বন্ডে বিনিয়োগকারী ৫ জনকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘বাংলাদেশ ব্যাংক রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড-২০১৩’ দেওয়া হয়। ব্যাংকিং চ্যানেলে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রেরণকারী ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে দক্ষ পেশাজীবীর পাশাপাশি বিদেশে সাধারণ কাজ করছেন এমন ব্যক্তিদেরও মনোনীত করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৭
এসই/এএটি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।