বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বাংলামোটর এলাকায় ওএমএসের চাল কিনতে এসে কথাগুলো বলছিলেন কাঁঠালবাগান ঢালের বাসিন্দা রাহেলা বেগম।
বাজার নিয়ন্ত্রণে খাদ্য অধিদফতরের খোলাবাজারে চাল বিক্রি (ওএমএস) কর্মসূচির অধীনে ট্রাক সেল চলছে গত রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) থেকে।
তবে ৩০ টাকা কেজি দরে এবার আতপ চাল বিক্রি করায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন অনেক ক্রেতা।
গৃহিণী রাহেলা বাংলানিউজকে আরো বলেন, ‘আতপ চালের ভাত ভালো হয় না। যদি কেউ রান্না করেন, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে গরম ভাত খেতে হবে। রেখে খেতে চাইলে ভাত তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। ভাতের জন্য এ চাল ভালো নয়। তাই ৫ কেজি আতপ চাল কিনেছি পিঠা বানাবো’।
‘মনে হচ্ছে, সরকার ভাতের বদলে আমাদের পিঠা খাওয়াবে’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বাসায় ফেরার পথে খোলা বাজারে বিক্রি হওয়া চাল হাতে নিয়ে দেখছিলেন হাতিরপুলের বাসিন্দা তোফাজ্জল হোসেন।
তিনি বলেন, ‘এই চাল ততোটা ভালো নয়। বাজারে চালের দাম অনেক বেশি। এখন অনেকটা বাধ্য হয়েই এ চাল কিনতে হবে’।
ওএমএস বিক্রয় প্রতিনিধি সাঈদ বিন কাউছার বাংলানিউজকে বলেন, ‘চালের ক্রেতা কম। সবাই আসছেন, কিন্তু চাল দেখার পর কেউ কিনছেন না। মানুষ সিদ্ধ চালে অভ্যস্ত হওয়ায় আতপ চালের ক্রেতা নেই। তবে আটার চাহিদা বেশি’।
বাজারমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রবণতা রোধ, নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীকে মূল্য সহায়তা দেওয়া ও বাজারদর স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে ওএমএস কর্মসূচি চলবে আগামী ১৫ অক্টেবর পর্যন্ত। কেজিপ্রতি চালের দাম ৩০ টাকা ও আটার দাম ১৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। মাথাপিছু ৫ কেজি করে চাল এবং আটা ও ময়দা মিলে সর্বোচ্চ ১০ কেজি কিনতে পারছেন ক্রেতারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৭
এএম/এএসআর