বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) উপজেলা পর্যায়ে শুরুর দিন থেকে জেলার নয়টির মধ্যে কেবলমাত্র সদরের পৌর এলাকা ও রামপাল উপজেলায় চাল বিক্রি চলছে।
মূল্য নিয়ন্ত্রণে খাদ্য অধিদফতরের খোলাবাজারে চাল বিক্রির এ কর্মসূচি শুরুই হয়নি পৌর এলাকা বাদে সদর, মোড়েলগঞ্জ, শরণখোলা, মোংলা, ফকিরহাট, মোল্লাহাট, চিতলমারী ও কচুয়া উপজেলায়।
সূত্র জানায়, সাধারণ মানুষ আতপ চাল কিনতে কতোটা আগ্রহী হবেন- সে লাভ-ক্ষতির হিসাব কষতে নগদ টাকা দিয়ে চাল উত্তোলনে আগ্রহী না হওয়ায় ডিলার চূড়ান্ত করতে দেরি হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে শহরের শালতলা মোড়ের ওএমএস বিক্রয়কেন্দ্রে গিয়ে ক্রেতাদের কোনো ভিড় দেখা যায়নি। পৌরসভার পাঁচটি কেন্দ্রেরই একই অবস্থা।
ওএমএস ডিলার নিলয় ভক্ত বাংলানিউজকে বলেন, ‘আতপ চাল হওয়ায় কিনতে এসেও ফিরে যাচ্ছেন ক্রেতারা। এখনো কোনো চাল বিক্রি হয়নি। সিদ্ধ চাল হলে ক্রেতাদের ব্যাপক ভিড় থাকতো’।
চাল কিনতে এসে ফিরে যাওয়ার সময় ক্রেতা নয়ন বলেন, ‘এখানে যে শুধু আতপ চাল দেয়, তা জানলে আসতাম না’।
প্রত্যেক জেলা সদরের পৌরসভায় পাঁচজন ও প্রত্যেক উপজেলায় তিনজন করে ডিলারের মাধ্যমে ওএমএসের চাল বিক্রির কথা। জেলার ৫৭ জন ওএমএস ডিলারের মধ্যে বাগেরহাট পৌরসভায় ৯ জন, সদর উপজেলায় ৪ জন, কচুয়ায় ৭ জন, চিতলমারীতে ৯ জন, মোল্লাহাটে ৪ জন, ফকিরহাটে ১২ জন, রামপালে ৫ জন, মোংলায় ৪ জন, শরণখোলায় ৩ জন ডিলার রয়েছেন। তবে ১৬টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত জেলার সবচেয়ে বড় উপজেলা মোড়েলগঞ্জে কোনো ওএমএস ডিলার নেই।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এ কে এম শহীদুল হক দাবি করেন, জেলায় কোনো খাদ্য সংকট নেই। ৯টি উপজেলার ৮টিতেই ওএমএসের ডিলার নিয়োগ করা হয়েছে। বাকিটিতেও দুই একদিনে চূড়ান্ত হবে। সরকার নির্ধারিত ৩০ টাকা কেজি দরে চাল সংগ্রহ করতে পারবেন ক্রেতারা। তবে আটার ব্যাপারে সরকারি কোনো নির্দেশনা নেই বলে জানান এ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৭
এএটি/এএসআর