বৃহস্পতিবার ( ২১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান।
তিনি বাংলানিউজকে জানান, প্রতিষ্ঠানটি ২০০৯ সালে বন্ড লাইসেন্স গ্রহণ করে।
অন্যদিকে ৩ প্রকার কাঁচামালের ঘাটতি পাওয়া যায়। এর পরিমাণ ৩২৯ টন। ফলে অনুসন্ধানের তথ্য অনুসারে, বন্ডেড প্রতিষ্ঠানটি অতিরিক্ত রপ্তানি দেখিয়ে অবৈধ রপ্তানি-সুবিধা নিয়েছে। এই অতিরিক্ত মালামাল খোলাবাজারে বিক্রি করার অপচেষ্টাও ছিল। একইসাথে ঘাটতি সংশ্লিষ্ট মালামাল ইতোমধ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করে স্থানীয়ভাবে বিক্রি করে দিয়েছে তারা। আর এই তথ্য উৎঘাটিত হওয়ায় বৃহম্পতিবার শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর বন্ড কমিশনারেটে একটি মামলা দায়ের করেছে।
মইনুল খান আরও জানান, এসব কাঁচামালের মধ্যে রয়েছে ইয়ার্ন, ডাইস কেমিক্যাল, পিপি দানা, কাগজ, থিনার, লবণ, বিএপিপি, এইচডিপি, এডহেসিভ টেপ, ডুপ্লেক্স বোর্ড ও এলএলডিপি। কাঁচামালের শুল্কায়নকৃত মূল্য প্রায় ২১১ কোটি টাকা। ফাঁকিকৃত শুল্কসহ এসবের মূল্য প্রায় ২৭৬ কোটি টাকা। এভাবে প্রতিষ্ঠানটি সরকারের ৬৫ কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দিয়েছে।
তিনি আরও জানান, রপ্তানিকে উৎসাহিত করতে সরকার কাঁচামাল আমদানিতে শুল্কমুক্ত-সুবিধা প্রদান করে থাকে। এসব কাঁচামাল কেবল রপ্তানিকৃত পণ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত হবে এই শর্তে আমদানিকারকগণ এই সুবিধা গ্রহণ করেন। কিন্তু এক শ্রেণির বন্ডার বন্ড লাইসেন্স নিয়ে এসব কাঁচামাল রপ্তানিতে ব্যবহার না করে অধিক ও অন্যায় মুনাফা লাভের জন্য স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে দিচ্ছে। এই বন্ড সুবিধার অপব্যবহারের ফলে সরকার যেমন রাজস্ববঞ্চিত হচ্ছে, তেমনি স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও অসম প্রতিযোগিতার মুখে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
এছাড়া বন্ড অপব্যবহারের মামলায় বন্ড লাইসেন্স বাতিলসহ এই ফাঁকিকৃত শুল্কের দুই গুণ অর্থদন্ড হতে পারে বলেও মইনুল খান জানান।
বাংলাদেশ সম:২০৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৭
এসজে/জেএম