সম্প্রতি ‘দ্য ফ্যামিলি অব বাংলাদেশ ব্যাংক’ নামে ফেসবুকের একটি ক্লোজ গ্রুপে ওই স্ট্যাটাসটি দেন শিবলি। গ্রুপটিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দিষ্ট কর্মকর্তারা ছাড়া আর কারও প্রবেশের সুযোগ নেই।
সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উঠে আসে, কোনো ঋণকে খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত করতে বা ঋণের ব্যবহার সরেজমিনে দেখতে হলে ডেপুটি গভর্নরের (ডিজি) অনুমোদন নিতে হবে। এর মাধ্যমে পরিদর্শন কর্মকর্তাদের ক্ষমতা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও খবরে বলা হয়।
এই প্রেক্ষিতে ১৩ সেপ্টেম্বর শিবলি ক্লোজ ফেসবুক গ্রুপটিতে মজার ছলে লেখেন, ‘:ডিজি মহোদয় আপনি অনুমতি দিলে একটি লোন (ঋণ) ক্লাসিফায়েড (খেলাপি) করতে চাই। / :গ্রাহকের নাম ঠিকানা বলো। / : স্যার গ্রাহক তো মেলা টাকার মালিক। / :ক্লাসিফায়েড করার আগে গ্রাহককে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলো’।
একই দিন অপর একটি স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, এভাবে চলতে থাকলে বাংলাদেশ ব্যাংক শেষ হয়ে যাবে।
এরপর বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) শিবলিকে ব্যাংক পরিদর্শন বিভাগ-২ থেকে তাৎক্ষণিক বদলি করে মানবসম্পদ বিভাগে যুক্ত করা হয়।
২০১৫ সালে যোগ দান করা শিবলিকে এভাবে বদলিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন, ফেসবুকের গ্রুপে নিজেরা বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করে থাকেন। গ্রুপের সদস্য শুধু ব্যাংকের কিছু কর্মকর্তাই। কীভাবে ব্যাংকের উন্নয়ন করা যায়, সুযোগ-সুবিধা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয় এখানে। সবাই মনের ভাব প্রকাশ করে থাকে। এ গ্রুপের মন্তব্য নিয়ে কাউকে শাস্তি দেওয়াটা কোনোভাবেই যৌক্তিক হতে পারে না। তাহলে সবাই নিশ্চুপ হয়ে পড়বে।
জানা গেছে, শিবলিকে বদলি করেই শেষ টানেনি কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) তাকে অভিযোগনামা (চার্জশিট) দেওয়া হয়। এজন্য ব্যাংকের অফ সাইট সুপারভিশন বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে কমিটি করেছে। তার কাছে ২ অক্টোবরের মধ্যে অভিযোগের বিষয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে শিবলিকে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংক পরিদর্শন বিভাগগুলোর দায়িত্বে রয়েছেন ডেপুটি গভর্নর এস এম মনিরুজ্জামান। অফ সাইট সুপারভিশন বিভাগের দায়িত্বেও তিনি। তারই নির্দেশে এসব সিদ্ধান্ত হচ্ছে বলে মনে করছেন ব্যাংক কর্মকর্তারা। মনিরুজ্জামান বর্তমানে দেশের বাইরে রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৭
এসই/এইচএ/জেডএম