মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে বেলা সাড়ে ১১টায় নব্য ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বিএটির দেশ-বিদেশে দুর্নীতির অনুসন্ধান ও বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সংগঠনটি।
সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করা হয় সংগঠনটির পক্ষ থেকে।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে সংগঠনটির সাংগঠিনক সম্পাদক লোকমান হাকিম বলেন, ২০০৯-১০ থেকে ২০১২-১৩ অর্থবছরে বিএটি ১ হাজার ৯২৪ কোটি টাকা ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে। এ টাকা যাতে দিতে না হয় সে জন্য প্রতিষ্ঠানটি হাইকোর্টে মামলাও করেছিলো। কিন্তু সেই মামলায় হেরে যায় তারা। এর পর আদালতের বাইরে তারা তৎপর হয়ে উঠেছে। ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাই কমিশনার সমঝোতার চেষ্টা করছে। এর আগে ব্রিটিশ হাই কমিশনারকে সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে বিএটি’র এমডি শেহজাদ মুনিম চিঠি দিয়েছে।
মূলত বিড়ি শিল্প ধ্বংসের জন্য বিএটি এ ধরনের নানা কূটকৌশল নিচ্ছেন বলে জানান বিড়ি শ্রমিক নেতারা।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে আরো জানানো হয়, বৈষম্যমূলক শুল্কনীতি প্রণয়নের মাধ্যমে বিড়ির বাজার যাতে সিগারেটের দখলে চলে যায় সেজন্য নেয়া হচ্ছে নানা ব্যবস্থা। বাজেটে সিগারেটে কর কম বসানোর জন্য সরকারের উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিদের ব্যবহার করছেন তারা। এনবিআরের সঙ্গে বাজেটের আগে কয়েক দফা গোপন বৈঠক করেছেন তারা।
২০১৪-১৫ অর্থ বছরে সিগারেটের দাম ছিলো যেখানে ৯০টাকা, তা ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে কমিয়ে ৭০ টাকা করা হয়েছে। দেশীয় শিল্পকে ধ্বংস করতেই এ ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এম কে বাঙালি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক আনোয়ার হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৭
ইউএম/এসএইচ