শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে হোটেল রেডিসন ব্লুতে ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি) আয়োজিত ‘টুওয়ার্ডস সাসটেইনেবল টেক্সটাইল’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের তৈরি পোশাক রফতানির জন্য আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, এরই মধ্যে বেশকিছু কারখানায় এ ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। গ্রিন ফ্যাক্টরি নির্মাণের জন্য সরকার ব্যবসায়ীদের আর্থিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে ট্যাক্স ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। দেশে মোট ২০৮ পোশাক কারাখানাকে পর্যায়ক্রমে গ্রিন ফ্যাক্টরি করা হচ্ছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ গত অর্থবছরে প্রায় ৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য এবং ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের সেবা রফতানি করেছে। এর মধ্যে প্রায় ২৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এসেছে তৈরি পোশাক রফতানি করে। এ শিল্পে প্রায় ৪৫ লাখ শ্রমিক কাজ করছে এর ৮০ শতাংশই নারী।
‘কারখানার শ্রমিকদের কাজের পরিবেশ ও উপযুক্ত বেতন-ভাতা নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়া দেশের তৈরি পোশাক শিল্পকে স্থায়ী ও শক্ত ভিত্তির উপর দাঁড় করাতে ইন্টারন্যাশনাল ফাইনান্স করপোরেশন পার্টনারশিপ ফর ক্লিনারন টেক্সটাইল (প্যাক্টে) এর মাধ্যমে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে,’ বলেন তোফায়েল আহমেদ।
আইএফসি’র কান্ট্রি ম্যানেজার ওয়েন্ডি জে ওয়ার্নারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ-এর সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমানসহ আইএফসি’র পদস্থ র্কমকর্তারা বক্তব্য দেন।
পরে প্যাক্টে ও বিজিএমইএ-এর মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৭
এসজে/এমএ