তবে নতুন ধান উঠলে মিল পর্যায়ে দাম কমবে। তখন বাজারেও এর প্রভাব পড়বে।
খরা ও বন্যাসহ নানান অজুহাতে চাল উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশে গেল তিন মাস ধরে বাড়ছে চালের দাম। যখন বাজার ঊর্ধ্বমুখী, তখন চালের দামের লাগাম টেনে ধরতে সরকার সহজ করেছে চাল আমদানি প্রক্রিয়া। এছাড়া খোলা বাজারে চাল বিক্রির পাশাপাশি শুরু করেছে বেসরকারি গুদামে মজুদ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান। কিন্তু এত কিছুর পরও রাজশাহীতে এর কোনো প্রভাব পড়ছে না।
রাজশাহীর সাহেব বাজারে চাল কিনতে আসা রবিউল ইসলাম বলেন, মাস শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার বাড়িতে চালও শেষ। কিন্তু বাজারে এসে দেখলেন এখনও দাম কমেনি। তাই যেখানে পুরো মাসের জন্য পাইকারি বাজার থেকে এক বস্তা (৮৪ কেজি) চাল কিনতেন সেখানে খুচরা বাজার থেকে পাঁচ কেজি চাল কিনেছেন।
আগামী সপ্তাহের আবারও বাজারে আসবেন। তখন দাম কমলে পুরো মাসের জন্য চাল নিয়ে যাবেন। নতুন ধান উঠলে এবং এখনকার মজুদ শেষ হলে কেজিতে অন্তত ৫-১০ টাকা দাম কমবে বলে বাজার পরিস্থিতি দেখে প্রত্যাশা করছেন এ ক্রেতা।
এদিকে রাজশাহীর সাহেব বাজার এলাকার এপি চাল ভান্ডারের ব্যবসায়ী প্রকাশ চন্দ্র সাহা বলেন, চালের বাজার এখনও অপরিবর্তিত রয়েছে। নতুন করে কোনো চালের দামই কমেনি। বর্তমানে বাজারে আঠাশ চাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫৬ টাকা, কাজললতা ৬০ টাকা কেজি, মিনিকেট ৬২টাকা কেজি, স্বর্ণা ৫০ টাকা কেজি, পারিজা ৫৫ টাকা কেজি, জিরাশাইল ৫৮ টাকা কেজি, নাজিরশাইল ৬৫ টাকা কেজি, বাসমতি ৭০ টাকা কেজি, কাটারিভোগ ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া পোলাওয়ের চাল কালোজিরা ৮০-৯০ টাকা ও চিনিগুড়া চাল ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ১৫ দিন থেকে এ দাম অপরবর্তি রয়েছে বলেও জানান এ ব্যবসায়ী।
জানতে চাইলে প্রকাশ চন্দ্র সাহা বলেন, দাম বেশি হওয়ায় চালের বাজারে এখন ক্রেতা নেই। কেবল যাদের বাড়িতে একেবারেই চাল নেই তারাই খুচরা বাজারে আসছেন চাল কিনতে। তাই পাইকারি বাজারে ক্রেতা নেই। সবাই দাম কমার অপেক্ষা করছেন। তবে বেশি দামে কেনা চাল শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা দাম কমাতে পারছেন না।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০১৭
এসএস/ওএইচ/