ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

আকাশচুম্বী দাম সবজির, কাঁচামরিচের দরে আগুন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৬, ২০১৭
 আকাশচুম্বী দাম সবজির, কাঁচামরিচের দরে আগুন ঊর্ধ্বমুখী কাঁচামরিচের দাম/ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: বন্যা কিংবা অতিবৃষ্টি না থাকা সত্ত্বেও বাজারে কাঁচামরিচের কেজি ২৫০ টাকা ছাড়িয়েছে। খুব একটা স্বস্তি নেই সবজির বাজারেও। দাম আকাশচুম্বী। ৬০ টাকার নিচে মিলছে না সবজি। নিম্ন আয়ের মানুষের তাই ত্রাহি অবস্থা।

শুক্রবার (৬ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর মিরপুর-১ ও মিরপুর-১০ নম্বরের কাঁচাবাজার ঘুরে জানা যায় এ তথ্য।

খুচরা বাজারে সবজির সবশেষ তথ্যানুযায়ী, প্রতিকেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৫০-২৬০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৫০-১৬০ টাকা।

চায়না গাজর প্রতিকেজি ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ১০০ টাকা, বরবটি প্রতিকেজি ৭০ টাকা থেকে ৮০ টাকা, চিচিংগা প্রতিকেজি ৬০ টাকা, টমেটো প্রতিকেজি ৯০ টাকা, সিম প্রতিকেজি ১৬০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা থেকে বেড়ে প্রতিকেজি ১০০ টাকা, করলা প্রতিকেজি ৬০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, ধনিয়াপাতা ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। কম রয়েছে কেবল আলুর দাম। প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা।

মিরপুরের সবজি বাজার/ছবি: মুজিবুরকাঁচামরিচের অতিমাত্রায় মূল্যবৃদ্ধি সম্পর্কে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চাহিদা অনুযায়ী কাঁচামরিচের যোগান উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে। ফলে বাজার সামলাতে পারছেন না পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা। কাঁচামরিচে আমদানি যেকোনো সময়ের তুলনায় এখন কম এবং বন্যায় মরিচ চাষ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দাম বেড়েছে পাল্লা দিয়ে।

তবে ব্যবসায়ীরা সতর্ক করে বলেছেন, দ্রুত চাহিদা অনুযায়ী যোগানের বিষয়টি ঠিক করা না গেলে দাম আরও বাড়তে পারে।

বন্যার ক্ষয়ক্ষতি এখনো পুষিয়ে না উঠতে পারায় সবজির বাজারও সম্পূর্ণ স্থিতিশীল হচ্ছে না বলে বিক্রেতারা জানিয়েছেন।

মিরপুরের মাংসের বাজার/ছবি: মুজিবুরমিরপুর-১ নম্বরের কাঁচামরিচ বিক্রেতা তারেক হাওলাদার বাংলানিউজকে বলেন, কাঁচামরিচের আমদানি প্রায় শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে। আর কিছু যা আসছে তা পচা ও নষ্ট। তাই বাজারে মরিচ নেই বলেই চলে। ফলে তর তর করে বাড়ছে দাম।

মিরপুর-১০ নম্বর কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা হালিম শেখ বাংলানিউজকে বলেন, বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কৃষকরা এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি। তাই দাম স্থিতিশীল হচ্ছে না।

এদিকে চালের দাম রয়েছে অপরিবর্তিত। খুচরা বাজারের সবশেষ তথ্যানুযায়ী প্রতিকজি মিনিকেট ৬৩ টাকা, নাজিরশাইল ৬৮-৬৯ টাকা করে বিআর-২৮ ৫৩ টাকা, পারিজা ও স্বর্ণা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা করে।

তবে অপরিবর্তিত রয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও মাছ-মাংসের দাম।

মিরপুরের মাছ বাজার/ছবি: মুজিবুরদেশি পিঁয়াজ ৪৫ টাকা, আমদানিকরা পিঁয়াজ ৩৫-৪০ টাকা, দেশি রসুন ৮০ টাকা, আমদানি করা রসুন ৮৫ টাকা, চিনি ৫৫ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১০০ টাকা, আমদানি করা ডাল ৭০ টাকা, আমদানি করা আদা ১০০ টাকা দরে কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে।

প্রতিকেজি বড়, মাঝারি ও ছোট চিংড়ি যথাক্রমে ৭০০, ৬৫০ ও ৬০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতিকেজি রুই মাছ ১৮০-৩০০ টাকা, কাতল মাছ ২০০ টাকা, রূপচাঁদা ৭২০ টাকা, শিং মাছ ৪০০ টাকা ও পাঙ্গাশ ১২০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০ টাকা, বোয়াল ২৮০ টাকা ও সিলভার কার্প ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাংসের বাজার রয়েছে গত সপ্তাহের দরে অনুযায়ী। প্রতিকেজি গরুর মাংস ৪৮০-৫০০ টাকা, খাসির মাংস ৭০০- ৭৫০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগি ১৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সোনালি আকার অনুযায়ী ১৫০-২২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস।

***বাজারে ১০ টাকায় মিলছে না কাঁচা মরিচ!
***মরিচের ঝাল কমলেও ঝাঁজ বেড়েছে পেঁয়াজের

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৫, ২০১৭
এমএসি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।