প্রতিবেলার রান্নায় অত্যাবশ্যকীয় উপকরণ কাঁচা মরিচের এমন আকাশছোঁয়া দামে ক্রেতাদের নাভি:শ্বাস উঠলেও ফুরফুরে মেজাজে রয়েছেন কৃষকরা। বন্যায় তলিয়ে যাওয়া ক্ষেতের ক্ষতি তারা অনেকটাই পুষিয়ে নিচ্ছেন এই মরিচ ক্ষেতেই।
রোববার (০৮ অক্টোবর) বদরগঞ্জ উপজেলায় সরেজমিনে বাজার ও কৃষকদের মরিচ ক্ষেত ঘুরে দেখা যায়, উঁচু জমিতে যেখানে পানি জমেনি সেখানে বর্তমানে মরিচ ক্ষেত রয়েছে। এ বছর বন্যায় মরিচ ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তাই বাজারে মরিচের সংকট থাকায় চড়া দামে মরিচ বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।
বদরগঞ্জ উপজেলার রামনাথপুর ইউনিয়ের ঝাকুয়াপাড়া গ্রামের মরিচ চাষি বদন আলী বাংলানিউজকে বলেন, আমার তিন বিঘা জমিতে মরিচ ছিল। বন্যায় দুইবিঘা জমির মরিচ গাছ সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। বাকি এক বিঘার মরিচ বিক্রি করে চলছে আমার সংসার। তিনি আরো বলেন, পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি মরিচ দেড়শ’ টাকা দরে বিক্রি করছি। খুচরা বাজারে মরিচ দু’শ’ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
একই গ্রামের মরিচ চাষি এমারুল হক বাংলানিউজকে বলেন, বদরগঞ্জের ৮০ ভাগ মাটি পলি ও উর্বর দো-আঁশ হওয়ায় মরিচ চাষ এখানে ভালো হয়। আমি এ বছর তিনবিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছি। বন্যায় আড়াই বিঘা জমির কাঁচা মরিচ নষ্ট হয়ে গেছে। বাকি ১০ কাঠার মরিচ বিক্রি করেই ক্ষতি পোষানোর চেষ্টা করছি।
তিনি আরো বলেন, মরিচের দাম বেশি হওয়ার কারণে ক্ষতি অনেকটা কাটিয়ে উঠতে পেরেছি।
বদরগঞ্জ বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী শাহিন মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, গত কয়েকদিন ধরে কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি দু’শ’ টাকায় বিক্রি করছি। এ ছাড়া বেগুন, করলা, পটল, শশা, লাউসহ সব সবজি বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
বদরগঞ্জ উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কনক চন্দ্র রায় বাংলানিউজকে বলেন, বদরগঞ্জ উপজেলায় বন্যার কারণে সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। যার প্রভাব পড়েছে কাঁচা বাজারে।
আর কয়েকদিন পরে সবজির দাম কমবে বলেও আশাবাদী কৃষি কর্মকর্তা কনক।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৮, ২০১৭
আরআইএস/জেডএম