প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, প্রতিবছর আমাদের গার্মেন্টস সেক্টরে গড়ে ১৩ শতাংশের উপর প্রবৃদ্ধি থাকতো। অথচ গত বছরে আমাদের প্রবৃদ্ধি দশমিক ২ শতাংশ।
‘ভারত সরকার আরএমজি সেক্টরকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছে। এর ফলে আস্তে আস্তে আমাদের বাজারটা ভারত নিয়ে যেতে পারে’।
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে বিজিএমইএ ভবনের কনফারেন্স রুমে পোশাক শিল্পের বর্তমান পরিস্থিতি বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজিএমইএ'র সভাপতি বলেন, ভারত বিভিন্নভাবে তাদের গার্মেন্টস সেক্টরকে সহযোগিতা করছে। তারা স্টেট টু স্টেট প্রতিযোগিতা করছে, উদ্যোক্তাদের কত বেশি সুবিধা দিতে পারে, তারা চেষ্টা করছে। এমনকি আগামী ৫ বছরের জন্য কর্মীদের বেতনের ৭০ শতাংশ দিয়ে দিচ্ছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা বেশি জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা ডলারের বাজারে ভারত, পাকিস্তানের সঙ্গে পারছি না। এজন্যই বারবার সরকারকে আমরা বলেছি, যেহেতু ডলারে তাদের সঙ্গে পারছি না, সেহেতু আমাদের ইনট্যান্স দেন। সরকার সহযোগিতা করলে এই সেক্টরকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক বাজার যদি খারাপ হয়, তবে ব্যবসা কমবেই স্বাভাবিক। আর ক্রেতারা যে দেশে বেশি সুযোগ পাবে সেখানেই যাবে। আমরা যদি ত্রেতাদের সুযোগ সুবিধা দিতে না পারি, তাহলে কিভাবে তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে টিকে থাকবো?
এ সময় তিনি দেশীয় পোশাক শিল্পের নানাবিধ সমস্যার কথা তুলে ধরে বলেন, গাজীপুর, আশুলিয়া, সাভার, কাশিপুর ও কোনাবাড়ি এলাকায় গ্যাস শঙ্কট ভয়াবহ রূপ ধারণ করায় ওইসব এলাকায় সাড়ে ৩শ’ পোশাক কারখানায় উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে।
যানজটে পোশাক খাত স্থবির হয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঢাকায় ও এর আশেপাশে ভয়াবহ যানজট লেগে থাকে। ফলে ঢাকা থেকে গাজীপুর, আশুলিয়া যেতে তিন ঘণ্টা আসতে তিন ঘণ্টা লাগে। এ কারণে কারখানার মধ্যম পর্যায়ের কর্মকর্তারা কাজে যেতে চান না। এতে উৎপাদনে সমস্যা হচ্ছে। এ সংকট নিরসনে ঢাকা থেকে গাজীপুর সড়কটি চার লেনে উন্নীত করার দাবিও জানান তিনি।
সিদ্দিকুর বলেন, প্রতিবছর চট্টগ্রাম বন্দরে পরিবহন বাড়ছে ১৭ থেকে ১৮ শতাংশ হারে। এজন্য বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানো দরকার ছিল কমপক্ষে ২০ শতাংশ। অথচ তা হয়নি। গত ৪০ বছরে ৬০টি জেটি হওয়ার কথা থাকলেও হয়েছে ৭টি। পর্যাপ্ত জেটি না থাকায় জাহাজ জটের কারণে বছরে হাজার হাজার কোটি টাকা নষ্ট হচ্ছে। বন্দরে কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং ব্যবস্থায় অব্যবস্থাপনার কারণে পোশাক শিল্পের প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় আমদানি করা কাঁচামাল খালাসে ১০ থেকে ১৫ দিন বেশি লাগছে।
এসময় বিজিএমইএএ'র নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৭
এএম/এসএইচ