বুধবার (১ নভেম্বর) সকালে নগরের অশ্বিনী কুমার হলে এই মেলার উদ্ভোধন করেন বিভাগীয় কমিশনার মো. শহিদুজ্জামান।
কর অঞ্চলের কর কমিশনার মোহাম্মদ জাহিদ হাছানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- বিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহা. আবুল কালাম আজাদ, জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
আয়কর মেলায় সেবা গুলোর মধ্যে রয়েছে- নতুন করদাতাদের জন্য ১২ ডিজিটের টিআইএন রেজিস্ট্রেশন এবং পুরান করদাতাদের জন্য টিআইএন রি-রেজিস্ট্রেশন করার ব্যবস্থা। আয়কর রির্টান এবং সিটিজেন চার্টার সরবরাহ। আয়কর রির্টান জমা দোওয়ার ব্যবস্থা এবং তাৎক্ষণিক প্রাপ্তি স্বীকার প্রদান। হেল্প ডেক্সের মাধ্যমে করদাতাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা, ই-পেমেন্টের মাধ্যমে আয়কর দেওয়ার সুবিধা, অধিক্ষেত্রে অনুযায়ী আয়কর রির্টান জমা দানে সহায়তা করা। অনলাইনে রির্টান দাখিল সম্পর্কিত প্রাথমিক ধারনা এবং পাসওয়ার্ড দেওয়া এবং অনলাইনে রির্টান দাখিলের ব্যবস্থা।
এছাড়াও মেলা প্রাঙ্গণে সোনালী ব্যাংক ও জনতা ব্যাংকের অস্থায়ী বুথের মাধ্যমে আয়করের টাক পরিশোধের ব্যবস্থা করা। পাশাপাশি মেলা প্রাঙ্গণে ভ্যাট ও সঞ্চয় পরিদফতরের অস্থায়ী বুথের মাধ্যমে সেবা দেওয়া হবে।
বরিশাল কর অঞ্চলের কর কমিশনার মো. জাহিদ হাছান জানান, এবারে করদাতাদের সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে ১৫ মিনিটের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাসহ নতুন কিছু বিষয়সমূহ বেশি সংযোজিত হয়েছে। যার ফলে নতুন করদাতারা তাদের রেজিস্ট্রেশন ফরম নিজেরাই পূরনসহ কাঙ্খিত সেবা পাবেন।
তিনি বলেন, প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হওয়া সাতদিন ব্যাপী এই আয়কর মেলা থেকে এবছর ৮ হাজার রির্টানকারী ও ১৫ শত নতুন করদাতা সংগ্রহসহ ৬ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করার টার্গেট নিয়েছে বরিশাল কর অঞ্চল। পাশাপাশি এই মেলায় ১ লাখ ২৫ হাজার করদাতাকে সেবা প্রদান করা হবে।
এছাড়া ১ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত মাসব্যাপী ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে আয়কর বিভাগ বলেও জানান এই কর কমিশন।
কর কমিশনার জাহিদ হাছান বলেন, গতবছরের আয়কর মেলায় প্রাপ্ত রির্টান সংখ্যা ছিলো ৬ হাজার ৫শ’ ১৯টি। আদায় করা আয়করের রাজস্ব টাকা ছিলো ৪ কোটি ৭৬ লাখ ৮০ হাজার ৪শ’ ২৯ টাকা। নতুন করদাতা সৃষ্টি করা হয়েছিলো ৯শ’ ২৬ জন। পাশাপাশি সেবা নিয়েছে ৯৩ হাজার ৭৮২ জন করদাতা।
তিনি বলেন, এই আয়কর মেলার পূর্বে বিভাগের ৬টি উপজেলায় আয়কর ক্যাম্প করেছে কর অঞ্চল বিভাগ। এতে ২৫ হাজার করদাতাকে সেবা দিয়েছে। পাশাপাশি ১ হাজার ৩শ’ ৪০ জন করদাতা রির্টান জমা দিয়েছেন এবং নতুন টিআইএন গ্রহণকারীর সংখ্যা ৪৬৬ জন। ক্যাম্প থেকে আয়করের আদায়ের পরিমাণ ৪৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা।
এদিকে আয়কর মেলার পাশাপাশি ঝালকাঠী, পিরোজপুর, বরগুনা, ভোলা ও পটুয়াখালী জেলা শহরে চারদিন এবং কলাপাড়া, স্বরূপকাঠী, লালমোহন, গলাচিপা আর নলছিটি উপজেলাতে দুদিন ব্যাপী আয়কর মেলা অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়াও চলতি মাসে নতুন আরও ৬টি উপজেলাতে আয়কর ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হবে। অন্যদিকে ৮ নভেস্বর হোটেল গ্রান্ডপার্কের বলরুমে জেলা ভিত্তিক সর্বোচ্চ, দীর্ঘমেয়াদী ও কর বাহাদুর পরিবার করদাতাদের সম্মাননা ও সনদপত্র দেওয়া হবে।
বরিশাল কর অঞ্চলের আওতায় বিভাগে করদাতার সংখ্যা প্রায় ৫৪ হাজার।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১৭
এমএস/জিপি