শনিবার (০৪ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর মিরপুরের সেনপাড়া ও মিরপুর ১৩ নম্বর কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ সবজির দামই সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে।
বাজার দু’টিতে শিম ১৫০-১৬০ টাকা, টমেটো ১৪০-১৫০ টাকা, পটল ৬০-৬৫ টাকা, ঢেঁড়স ৭০ টাকা, মূলা ৭০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, ঝিঙ্গা ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা, পেঁপে ২৫-৩০ টাকা, কালো বেগুন ৮০ টাকা, গোল সবুজ ও তাল বেগুন ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩৫-৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৫০-১৬০ টাকা, ধনে পাতা ২৮০-৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
লাউ আকার ভেদে ৪০-৬০ টাকা ও কাঁচা কলার হালি ২০-২৫ টাকা হাঁকছেন বিক্রেতারা।
বিভিন্ন ধরনের শাকের দামও স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। প্রতি আঁটি লাল শাক ও ডাটা শাক ২০ টাকা, পুঁইশাক ৩০-৩৫ টাকা, পাট শাক ১৫-২০ টাকা এবং কলমি শাক ১৫-২০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
সেনপাড়া কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা হাবিবুল্লা বাংলানিউজকে বলেন, দাম বাড়তি। পাইকারি বাজারে দামের কোনো ঠিক নেই।
মিরপুর ১৩ নম্বর বাজারের মোহাম্মদ কাওসার বলেন, ‘শীতের সবজি আসতে শুরু করেছে। এখন দাম কমার কথা। কিন্তু পাইকারি বাজারের সঙ্গে দিশা পাই না। আমাদের কেনায় বেশি পড়ছে, বিক্রিও বেশি দামে’।
মিরপুর ১৩ নম্বরের বাইশটেকির বাসিন্দা ক্রেতা আব্দুল জব্বার বলেন, ‘মানুষ খাইবো কি? সব কিছুর দাম বেশি। বেশিরভাগ সবজির দামই ৭০-৮০ টাকার বেশি’।
‘কেনা কমিয়ে দিয়েছি। ১ কেজি সবজির জায়গায় আধা কেজি, এক পোয়া কিনছি’।
অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে বেশি দামে সবজি বিক্রি করছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
‘সবজির এতো দাম। তারপরও খোঁজ নিয়া দেখেন, কৃষক ঠিকই ভাতে মরতাছে!’- বলেন আব্দুল জব্বার।
লিপন দাস বলেন, বাজার মনিটরিং হচ্ছে না। কঠোর মনিটরিং এর আওতায় আনা হলে দাম কমবে। সাধারণ মানুষ একটু খেয়ে বাঁচতে পারবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০১০ ঘন্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৭
এমইউএম/এএসআর