ফেডারেশন বলছে, বিড়ির ওপর একতরফাভাবে অতিরিক্ত ট্যাক্স আরোপ করে বিড়ি শ্রমিকদের প্রাপ্য মজুরি থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। প্রথম দিকে তথা ১৯৭৭ সালে ১ হাজার বিড়ির ওপর প্রথম আড়াই টাকা ট্যাক্স বসানো হয়।
শুধু তাই নয়, ২০০০ সালে বিড়ি ফ্যাক্টরি ছিল ৩৫০-৪০০টি। শ্রমিক সংখ্যা তখন ছিল ৫০ লাখের মতো। ২০১০ সালে কমে দাঁড়ায় ১৫০টিতে। তখন শ্রমিক সংখ্যা ছিল ৩৫ লাখের মতো। বতর্মানে সারাদেশে ১০০টির মতো বিড়ি ফ্যাক্টরি আছে, যেখানে শ্রমিক সংখ্যা ১৫ লাখের মতো। ফলে বিড়ি ফ্যাক্টরি বন্ধের পাশাপাশি বিড়ি শিল্পে নিয়োজিত বেকার শ্রমিকের সংখ্যা বাড়ছে।
পাবনার বাংলা বিড়ির ম্যানেজার শহিদুল্লাহ বলেন, আমরা আর বিড়ি শিল্প চালাতে পারছি না। এভাবে ট্যাক্স বাড়তে থাকলে বিড়ি শিল্প বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া বিকল্প আর কোনো পথ থাকবে না। বিড়ি শিল্প রক্ষা ও বিড়ি শ্রমিকদের রক্ষা করতে হলে অবশ্যই সরকারকে বিড়ির ওপর থেকে সকল ট্যাক্স প্রত্যাহার করতে হবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিন উদ্দিন বিএসসি বলেন, বিড়ি শিল্পের বিকল্প হচ্ছে বিড়ি শিল্প। কেননা বিড়ি শ্রমিকরা অন্য কোনো কাজ জানেন না। শতকরা ৮০ শতাংশ বিড়ি শ্রমিক নারী। তারা বোঝার পর থেকে এ কাজ করে। ফলে এখন বিড়ি শিল্প বন্ধ হয়ে গেলে দেশের ১৫ লাখের বেশি শ্রমিক বেকার হয়ে যাবে।
এছাড়া সিগারেট তৈরি করতে বিদেশ থেকে সবকিছু আমদানি করতে হয়। কিন্তু বিড়ি তৈরি করতে বিদেশ থেকে কিছুই আমদানি করতে হয় না। তাই বিড়ি শিল্প বন্ধ করতে হলে আগে সিগারেট বন্ধ করতে হবে।
** ডিসেম্বরে বিড়ি শ্রমিকদের মহাসমাবেশ
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮,২০১৭
এসজে/এএ