৯২ হাজার ৮৪৮ কোটি মার্কিন ডলার বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ৮০ টাকা ধরে) এর পরিমাণ প্রায় ৭৪ লাখ ২৭ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা। একই সময়ে ২০৩০ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর দরকার ৬৬ দশমকি ৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি) এবং জাতিসংঘের উন্নয়ন সংস্থা ইউএডিপি যৌথভাবে ‘এসডিজিস নিড অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড ফাইন্যান্সিং স্ট্র্যাটেজি, বাংলাদেশ পাসপেকটিভ’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
নগরীর শেবেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেনে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, জিইডি সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থ বিভাগের সচিব মুসলিম চৌধুরী, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব কাজী শফিকুল আযম, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান কাজী আমিনুল ইসলাম এবং ইউএনডিপির কান্ট্রি ডিরেক্টর সুদীপ্ত মুখার্জী।
মুস্তফা কামাল বলেন, শেখ হাসিনার হাত ধরেই এমডিজি তার লক্ষ্যে পৌঁছেছে। একইভাবে তিনিই এসডিজি বাস্তবায়ন করছে এটা বড় ভাগ্যের ব্যাপার। সবার প্রচেষ্টায় এসডিজি প্রণয়ন হয়েছে এখন সমবেতভাবে কাজ করে এটাকে এগিয়ে নিতে হবে। আমরা উন্নত দেশের কাতারে যেতে চাই।
তিনি আরও বলেন, এখন জিডিপি গ্রোথ ৭ শতাংশ, এটাকে ডাবল করতে হবে। তবে বিভিন্ন সময় আমাদের অর্জনে প্রতিবন্ধকতা এসেছে যেমন মিয়ানমারের সমস্যা। সে দেশে এখন জেনোসাইড চলছে আর এর কুফল ভোগ করছি আমরা।
তিনি বলেন, ঋণ নয় বিনিয়োগকারীরা প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। বিনিয়োগকারী দেশে প্রকল্প বাস্তবায়ন করে তাদের টাকা দরকার হয় তুলে নিয়ে যাক।
এসডিজি বাস্তবায়নে মোট অর্থায়নের মধ্যে ৭৯ হাজার ৬০৯ কোটি ডলার সরকারি তহবিল থেকে যোগান দিতে হবে।
অন্যদিকে ১৩ হাজার ২৩৯ কোটি ডলার বৈদেশিক সহায়তা সংগ্রহ করার কৌশল নেওয়া হয়েছে। এসডিজি বাস্তবায়নে ৫টি খাত থেকে অর্থায়ন আসবে। এর মধ্যে বেসরকারি খাত থেকে আসবে প্রতিবছর মোট অর্থায়নের ৪২ দশমিক ০৯ শতাংশ। সরকারি তহবিল থেকে প্রতিবছর ৩৫ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) থেকে বছরে ৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ আসতে হবে।
বাংলাদশে সময়: ১৮০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৭
এমআইএস/এসএইচ