ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

একদিনের কলা তিন দিনেও শেষ হয় না!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৭
একদিনের কলা তিন দিনেও শেষ হয় না! কারওয়ানবাজারের কলার আড়ত ; ছবি - জিএম মুজিবুর

ঢাকা: বর্তমানে কলার বাজার খুব খারাপ। একদিনের মাল আসলে তিন দিনেও বেচে শেষ করতে পারি না। আগে একদিনেই ৫শ’ কান্দি কলা বিক্রি করতাম। কিন্তু এখন তার অর্ধেক কলাও একদিনে বিক্রি হয় না। ফলে লোকসান গুনতে হচ্ছে। এভাবে কেনাবেচা চলতে থাকলে ব্যবসা বন্ধ করে দিতে হবে।

শনিবার ( ১১ নভেম্বর) দিবাগত রাতে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের পাইকারি কলা বিক্রেতা মো.মতিন (৬০) বাংলানিউজকে এসব কথা জানান।

কলার বাজার সম্পর্কে জানতে চাইলে মো. মতিন জানান, কলার বাজার সপ্তাহখানেক হলো বেশ খারাপ যাচ্ছে।

বর্তমানে কলা নরসিংদী, মধুপুর,বগুড়া,টাঙ্গাইল ও দিনাজপুর থেকে আসে। কিছুদিন আগেও আড়তে মাল আসার পর কাঁচা কলাও থাকতো না। কিন্তু এখন পাকা কলাই বিক্রি হচ্ছে কম। তাই বাজারের অবস্থা বেশ খারাপ।

কারওয়ান বাজারে কলা আসার পর সেগুলোকে প্রধানত তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়, বড়, মাঝারি ও ছোট। পাইকারি বাজারে বড় আকৃতির সাগর কলা প্রতি পোন (২০ হালি) ৪শ’ টাকা, মাঝারি ৩৬০ টাকা ও ছোট ২০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। সবরি কলা  বড় আকৃতিরগুলো প্রতি ১ পোন ৪৪০ টাকা, মাঝারি ৩২০ টাকা ও ছোটগুলো ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া চম্পা কলা প্রতি পোন বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকায়।

মতিন আরও জানান, চার-পাঁচদিন ধরে কলার চাহিদা কম। এজন্য কলার দাম প্রতি পোন ৫০ টাকা পর্যন্ত হ্রাস পেয়েছে। কিন্তু এরপরও বাজারের অবস্থা অনেক খারাপ।

কলা ব্যবসায়ীরা বলছেন, কৃষকদের কাছ থেকে প্রতি পোন সাগর কলা তাদের পাইকারি কিনতে হচ্ছে ২৪০ টাকায়। আর ঢাকায় আনতে আরও খরচ হচ্ছে ২০০ টাকার মতো ফলে বর্তমান দামে এক পোন কলা বিক্রি করে তাদের লাভের পরিবর্তে লোকসান বেশি হচ্ছে।

কারওয়ান বাজারের পাইকারি কলা ব্যবসায়ী কেরামত আলী জানান, আগে একদিনে ৫-৬ ট্রাক কলা বিক্রি হতো। এক ট্রাকে ২০০ কান্দির মতো কলা থাকে। সেখানে এখন ২ ট্রাকের ৪০০ কান্দি কলা বেঁচতে সময় লাগছে ২ থেকে ৩ তিন। ফলে আমাদের লোকসানে পড়তে হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৮০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২,২০১৭
এসজে/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।