লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি বেড়ে জিডিপি অর্জিত হয়েছে ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ। আর দেশবাসীর মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬১০ মার্কিন ডলার।
এর ফলে জিডিপি’র আকার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। দেশ স্বাধীনের পর জিডিপি’র আকার ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়াতে যেখানে সময় লেগেছিল ৩৪ বছর, সেখানে এ অর্জন রেকর্ড পরিমাণ।
২০১৬-১৭ অর্থবছরের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে এসব তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) মঙ্গলবারের (১৪ নভেম্বর) সভায় বিবিএসের এ প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়।
একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের জানান, গত অর্থবছরে (২০১৬-১৭) মাথাপিছু আয় ৮ ডলার বেড়েছে। আগের অর্থবছরে (২০১৬-১৭) মাথাপিছু আয় ছিলো ১ হাজার ৬০২ ডলার বা প্রায় ১ লাখ ২৮ হাজার ১৬০ টাকা। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ছিলো ১ হাজার ৩১৬ ডলার।
অন্যদিকে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৭ দশমিক ১০ শতাংশ, যার দশমিক ১৮ শতাংশ বেশি অর্জিত হয়েছে।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, মূলত জিডিপি’র প্রবৃদ্ধি বাড়ার কারণেই মানুষের গড় মাথাপিছু আয়ও বেড়েছে। গুরুত্বপূর্ণ তিনটি খাতের মধ্যে কৃষিখাতে ২ দশমিক ৯৭ শতাংশ, শিল্পখাতে ১০ দশমিক ২২ শতাংশ ও সেবাখাতে ৬ দশমিক ৬৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে।
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘এটি আমাদের নতুন ইতিহাস। ২০১৯ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশের ওপরে যাবে। আশা করছি, ২০৩০ সালের মধ্যে এ হার ৯ থেকে ১০ শতাংশের মধ্যে থাকবে। তাহলেই আমরা আমাদের ২০৪১ সালের প্রকৃত লক্ষ্য অর্জন করতে পারবো’।
‘বর্তমানে সারা বিশ্বে কম সময়ে মাত্র তিনটি দেশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশের ওপরে অর্জন করলো। অন্য দেশ দু’টি হচ্ছে কম্বোডিয়া ও ইথিওপিয়া’।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৭
এমআইএস/এএসআর