বুধবার (২২ নভেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সম্মলেন কক্ষে এডিবি ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে ঋণচুক্তি সই হয়।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ ইআরডি সচিব কাজী শফিকুল আযম এবং এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ ঋণচুক্তি সই করেন।
চলতি বছরের ৬ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয় প্রকল্পটি। তবে এডিবি ঋণ না পাওয়ায় কাজটি থেমে ছিলো। এডিবি’র ঋণে নতুন করে এগিয়ে গেলো প্রকল্পটি।
‘সাউথ এশিয়া সাবরিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন (সাসেক) সড়ক সংযোগ প্রকল্প (২) এলেঙ্গা-হাটিকুমরুল-রংপুর মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এটি বাস্তবায়িত হবে। এই প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিকভাবে ৩০ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছে এডিবি। প্রতি ডলার সমান ৮০ টাকা ধরে বাংলাদেশি টাকায় ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। বাকি অর্থ আরও কয়েক কিস্তিতে দেবে এডিবি।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১১ হাজার ৮৮১ কোটি ১৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে প্রকল্প সাহায্য হিসেবে এডিবি ঋণ দেবে ৯ হাজার ৩৩৯ কোটি ৯২ লাখ টাকা। বাকী ২ হাজার ৫৪১ কোটি ২১ লাখ টাকা সরকারি তহবিল থেকে যোগান দেওয়া হবে। সেপ্টেম্বর ২০১৬ থেকে আগস্ট ২০২১ মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
দেশের অন্য চারলেন মহাসড়কের চেয়ে এটি আরও আধুনিক হবে। সড়কজুড়ে ৬ থেকে ৮ কিলোমিটার পরপর উন্নত দেশগুলোর আদলে প্রায় ৮০টি আধুনিক ‘বাস-বে’ নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।
এ প্রকল্পে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ ১২২টি বাস-বে নির্মাণের প্রস্তাব দেয় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে। তবে প্রস্তাব আসার পর পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘বিদেশেও ১৯০ কিলোমিটার সড়কে ১২২টি ‘বাস-বে’ নেই। এই সড়কে ৮০টি ‘বাস-বে’ নির্মাণ করলেই যথেষ্ট। ’ সে হিসেবে বলা যাচ্ছে, ৮০টি বাস বে’ই নির্মিত হচ্ছে। সব সুযোগ-সুবিধা থাকবে এ চারলেনে। প্রকল্পের আওতায় এ সড়কের দু’পাশে ধীরগতিসম্পন্ন যানবাহনের লেনও তৈরি করা হবে, যার ফলে এটি ছয়লেনে প্রশস্ত হবে।
এর পাশাপাশি মহাসড়কে ২ হাজার ৬৩৫ মিটারের তিনটি ফ্লাইওভার, ৪১১ মিটারের একটি রেলওয়ে ওভারপাস, ৩২টি ব্রিজ, ১৬১টি কালভার্ট, ১১টি পথচারী ওভারপাস, ৩৯টি আন্ডারপাস এবং একটি ইন্টারচেঞ্জ নির্মাণ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৭
এমআইএস/এসএইচ