বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) চলমান চার দিনব্যাপী ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০১৭’-এ হল অব ফেমের সামনে ডাটাসফটের স্টলে এ প্রযুক্তি প্রদর্শিত হচ্ছে।
দেশের সবচেয়ে বড় বার্ষিক এ তথ্যপ্রযুক্তি সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার (০৭ ডিসেম্বর) স্টলটিতে দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা গেছে।
প্রতিষ্ঠানের আইওটি ইঞ্জিনিয়ার নিশাদুর রহমান ইভান বাংলানিউজকে জানান, আইওটি বা ইন্টার অব থিংকসের মাধ্যমে ডাটা বিশ্লেষণ করে মাছ ও মুরগির বেড়ে ওঠা নিশ্চিত করতে এ স্মার্ট পিসি কালচার সিস্টেম ও স্মার্ট পোলট্রি তৈরি করেছে ডাটাসফট।
স্মার্ট পিসি কালচার সিস্টেম সম্পর্কে তিনি বলেন, খামারে যখন ছোট ছোট চিংড়ি বা ছোট ছোট মাছের পোনা চাষ করা হয়, তখন অনেক সমস্যার কারণে লাইফ সাইকেল পার হতে পারে না। তখন নিখুঁতভাবে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়। নিখুঁত পরিবেশের ওপর নির্ভর করে মাছের লাভ-লোকসান।
উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘একটি খামারে ৬০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন এক ব্যক্তি। তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে না থাকায় একদিনেই ৮০ শতাংশ মাছ মারা যায়। বর্তমান প্রেক্ষিতে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ এতোটা কঠিন হয়ে পড়েছে যে, মানুষ তার সমাধান করতে পারছেন না’।
‘পানিতে অ্যামোনিয়া গ্যাস তৈরি, দ্রবীভূত খনিজ পদার্থ কম-বেশি হওয়ার কারণে মাছ মরে। চিংড়ি ঘেরে মাছগুলো খুব তাড়াতাড়ি খোলস পরিবর্তন করে’।
এসব বিষয় মাথায় রেখেই প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রয়োজনমতো পরিবেশ পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণে প্রতিনিয়ত পানির পিএইচ লেভেল মনিটরিং করা হচ্ছে, যা অম্ল বা ক্ষারের পরিমাণ জানিয়ে দেবে। ফলে ক্ষতি এড়ানো যাবে।
কুমিল্লার একটি খামারের এ স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যবহারের লক্ষ্যে কথা হয়েছে বলেও জানান ইভান।
স্মার্ট পোলট্রি সিস্টেম সম্পর্কে আইওটি ইঞ্জিনিয়ার ইভান বলেন, ‘মুরগির ডিম থেকে বাচ্চা ফোটার পরে একমাস ইনটেনসিভ কেয়ার দরকার হয়। সেখানেও তাপমাত্রা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। তাপমাত্রা মিলিয়ে নিতে না পারায় বাচ্চা মারা যায়’।
‘স্মার্ট পোলট্রিতে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। রিয়েল টাইম মনিটরিং হতে থাকবে এবং খামারিকে তাৎক্ষণিকভাবে জানাবে’।
এ সিস্টেম ব্যবহারেও একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানান তিনি।
ইভান বলেন, ইন্টারনেট অব থিংকস প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ডাটা বিশ্লেষণ করে তথ্য দেয় এ প্রযুক্তি।
তিনি বলেন, ‘আজ থেকে ৫০-৬০ বছর পর কৃষিজমি অনেক কমে যাবে, তবে চাষাবাদ থেমে থাকবে না। প্রযুক্তির ব্যবহার করে যতো পরিমাণ চাষাবাদ বাড়াতে পারি, ততোই ভালো’।
সাধ্যের মধ্যে এসব প্রযুক্তি সেবা পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা।
এমন নানা উদ্ভাবনীমূলক প্রকল্প নিয়ে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে এসেছে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৭
এমআইএইচ/এএসআর