এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক এবং সুইফটের (সোসাইটি ফর ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ইন্টারব্যাংক ফিন্যান্সিয়াল টেলিকমিউনিকেশন) সঙ্গে আলোচনা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মামলার পরিকল্পনা নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা নভেম্বরে ফেডারেল রিজার্ভের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন।
জানা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের আইনি পরামর্শদাতাদের একজন আরসিবিসির বিরুদ্ধে মামলার বিষয়টি তুলে ধরেন। তাছাড়া, বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে কোনো লিখিত প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে তা বিবেচনা করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয় ফেডারেল রিজার্ভের পক্ষ থেকে।
এ মামলায় ফেডারেল রিজার্ভ ও সুইফট কর্তৃপক্ষ বাদী হবে বলে আশাবাদী বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে, মামলার বিষয়ে ফেডারেল রিজার্ভের বা সুইফটের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেওয়া হয়নি এবং মামলায় তারা কি ভূমিকা পালন করতে যাচ্ছে তা জানা যায়নি।
প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী মার্চ-এপ্রিলের (২০১৮) মধ্যেই নিউইয়র্কে মামলাটি করা হতে পারে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহা জানান, আরসিবিসির বিরুদ্ধের মামলার বিষয়টি সম্পর্কে তার কোনো ধারণা নেই। তবে চুরি হওয়া অর্থ উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে সুইফট মেসেজিং সিস্টেমের মাধ্যমে ভুয়া বার্তা পাঠিয়ে ৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার চুরির ঘটনা ঘটে। এ অর্থ চলে যায় ফিলিপাইনের আরসিবিসিতে। অপর একটি আদেশে দুই কোটি ডলার পাঠানো হয় শ্রীলংকায়।
দুই কোটি ডলার ফেরত পায় বাংলাদেশ। কিন্তু ফিলিপাইনে পাঠানো অর্থের বেশির ভাগই ব্যাংকটির মাধ্যমে সেদেশের ক্যাসিনোতে চলে যাওয়ায় তা উদ্ধার সম্ভব হয়নি।
সাইবার হামলার মাধ্যমে এ অর্থ চুরির ঘটনাটি চেপে যাওয়ায় সমালোচনার মুখে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের পদ ছাড়তে বাধ্য হন আতিউর রহমান। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়েও আনা হয় বড় ধরনের পরিবর্তন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৭
এনএইচটি/আইএ