শনিবার (৯ ডিসেম্বর ) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের (বিআইসিসি) ‘মিডিয়া বাজার’ হলে এক সেমিনারে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিআইসিসিতে চলমান ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০১৭ তে ইসলামী ব্যাংকের সহযোগিতায় ‘প্রসপেক্টাস অ্যান্ড চ্যালেঞ্জেস অব ডিজিটাল কারেন্সি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করেন সিটিও ফোরাম বাংলাদেশ।
সেমিনার দেবদুলাল রায় তার বক্তব্যে বলেন, বিটকয়েন পারচেজ প্রসিডিউর বাংলাদেশে বৈধ নয়। কারণ আমরা সরকারিভাবে বলেছি ডিজিটাল কারেন্সি কেনা-বেচা করা যাবে না। এর ফলে অনেকেই অজানা বিভিন্ন উৎস থেকে আয় করা অর্থ দিয়ে ডিজিটাল মানি ক্রয় করে রাখছেন।
পরে সেমিনার শেষে এক প্রশ্নের জবাবে দেবদুলাল বলেন, ডিজিটাল কারেন্সি অবৈধ উপায়ে যদি কেউ ক্রয় করেন তাহলে সেটার প্রোটেকশন দেওয়ার মতো ক্যাপাসিটি আমাদের নাই। আপনি কোন সাইটে ঢুকে পারচেজ করবেন, কোন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড ইউজ করবেন সেটা বোঝা যাবে না। কারণ এটা বাংলাদেশি কোনো ব্যাংকের মাধ্যমে ক্রয় করা হচ্ছে না। বিদেশি কোনো ব্যাংকের কার্ড ইউজ করে ক্রয় করতে হচ্ছে। যার কারণে এটা আমাদের কন্ট্রোল ইনভায়ারনমেন্ট এর বাইরে।
এর আগে সিটিও ফোরাম বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট তপন কান্তি সরকারের পরিচালনায় সেমিনারে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আইটি ম্যানেজার (এটুআই) আরফে এলাহি, সাউথ এশিয়া ব্যাংকের মাস্টার কার্ড কান্ট্রি ম্যানেজার সাইয়েদ মোহাম্মদ কামাল এবং পূবালী ব্যাংকের ডিএমডি মোহাম্মদ আলি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের মার্কেটে ডিজিটাল কারেন্সির যেমন সুবিধা রয়েছে তেমন অসুবিধাও রয়েছে। আমরা এখনো ডিজিটাল কারেন্সি চালু করার কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। তবে আগে থেকেই আলোচনা করলে এ সম্পর্কে সবাই অবগত হয়ে যাবে। এতে যখন বাংলাদেশে ডিজিটাল কারেন্সি চালু করা হবে তখন সবাই এটা ভালো ভাবে গ্রহণ করবে। তবে আমরা এখনো এটা চালুর কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৭
এসআইজে/এসএইচ