চলতি মৌসুমেও মানিকগঞ্জের এসব উপজেলায় ব্যাপকভাবে সবজির আবাদ হয়েছে। ফলনও হয়েছে ভালো।
দফায় দফায় বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে বছরের শুরুতে সবজি চাষিরা কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও চলতি মৌসুমের সবজি চাষে বেশ লাভবান তারা। জেলায় এবার বেগুন, করলা, মূলা, লাউ, ফুলকপি, পাতাকপি, ধনে পাতা, লাল শাক, লাউ শাক ও আলুর আবাদ হয়েছে সবচেয়ে বেশি। বাজারে এসব সবজির চাহিদা থাকায় এবার দামও পাওয়া যাচ্ছে ভালো।
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার সবজি চাষি মেহের আলী জানান, চলতি মৌসুমে এক বিঘা জমিতে করলার চাষ করেছেন তিনি। জমি তৈরি, বীজ বপন, জমির মাচাল তৈরি ও শ্রমিকের খরচ বাবদ তার ব্যয় হয়েছে ১৫ হাজার টাকার মতো। এ পর্যন্ত তিনি বিক্রি করেছেন ৩০ হাজার টাকা করলা।
প্রতি ৪/৫ দিন পর পর তিনি জমি থেকে প্রায় ৯ মণ করে করলা তুলতে পারেন। প্রতি মণ করলার পাইকারি বাজার দর ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা পর্যন্ত। আরও প্রায় এক মাস তিনি এভাবে করলা তুলতে পারবেন বলে জানান।
সবজি চাষি আরশেদ আলী জানান, দেড় বিঘা জমিতে তিনি বেগুন ও মূলার চাষ করেছেন। এতে করে প্রায় ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে তার। এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার টাকার বেগুন বিক্রি করেছেন। আরও দুই মাস ৪/৫ দিন অন্তর অন্তর প্রায় ৫ থেকে ৬ মণ করে বেগুন তুলবেন। বাজারদর ভালো থাকলে মূলা ও বেগুন ক্ষেত থেকে আরও প্রায় ৬০ হাজার টাকার সবজি বিক্রি করতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বাদশা মিয়া নামের এক মূলা চাষি জানান, এক বিঘা জমিতে মূলা চাষের জন্য তার খরচ হয়েছে প্রায় ১০ হাজার টাকা। সেখান থেকে তিনি ৮ হাজার টাকার মূলা বিক্রি করেছেন। আরও প্রায় ১৪ থেকে ১৬ হাজার টাকার মূলা বিক্রি করবেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ সহকারী কর্মকর্তা আব্দুল কাদের মিয়া জানান, চলতি মৌসুমে জেলায় সাত হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে সবজির আবাদ হয়েছে। আরও প্রায় দেড় থেকে দুই হাজার হেক্টর জমিতে সবজির আবাদ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। উপযুক্ত আবহাওয়া ও ভালো বাজারদর থাকায় এবার সবজি চাষিরা বেশ লাভবান বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৭
জেডএস