মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) অর্থনীতি সমিতির কার্যালয়ে সমিতির ২০তম দ্বিবার্ষিক সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আবুল বারকাত বলেন, এজন্য অর্থ ব্যবস্থাপনায় সংস্কারের বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়া দরকার।
তিনি বলেন, নৈতিকতার বিষয়টি অর্থশাস্ত্র ও প্রায়োগিক অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই দৃষ্টিকোন থেকে এবারে সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ‘অর্থশাস্ত্র ও নৈতিকতা’। সম্মেলনের মাধ্যমে বাজার ও অর্থসংক্রান্ত প্রক্রিয়া এবং ব্যবস্থাপনায় নৈতিকতার গুরুত্ব, এর বাস্তব প্রয়োগ এবং সমস্যা ও সম্ভাব্য সমাধান সম্পর্কে দিক নির্দেশনা পাওয়া যাবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ‘অর্থশাস্ত্র ও নৈতিকতা’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির ২০তম দ্বিবার্ষিক সম্মেলন শুরু হবে ২১ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার)।
তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলনে চারটি প্লেনারি সেশনে পাঁচটি প্রবন্ধ এবং বারটি কর্ম-অধিবেশনে ১১৫টি প্রবন্ধ উপস্থাপিত হবে।
রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (আইডিইবি) মুক্তিযোদ্ধা হলে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করবেন সমিতির সভাপতি আশরাফ উদ্দিন চৌধুরী এবং স্বাগত বক্তব্য রাখবেন সাধারণ সম্পাদক ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ।
প্লেনারি সেশন বা কর্মঅধিবেশনগুলোতে দেশের প্রাজ্ঞ অর্থনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, ড. আতিউর রহমান,অধ্যাপক ড. শামসুল আলম, ড. মোস্তাফিজুর রহমান, ড. মোস্তফা কামাল মুজেরী, অধ্যাপক ড. তৌফিক আহমদ চৌধুরীর উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
সম্মেলনের শেষ দিন সকালে সমাপনী অনুষ্ঠানের পর সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সমাপনী অনুষ্ঠানে ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া উপস্থিত থাকবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৭
এসই/এসএইচ