কর্মসূচির আওতায় বাড়ি নির্মাণের জন্য একক ঋণ, গ্রুপ ঋণ এবং ফ্লাট ঋণ দেওয়া হচ্ছে।
রিহ্যাব মেলায় অংশ নেওয়া বিএইচবিএফসি’র স্টলে শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) কথা হয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে।
ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকা ছাড়া দেশের সব বিভাগীয় ও জেলা সদর এলাকা, উপশহর, উপজেলা সদর এবং গ্রোথ সেন্টারের নাগরিকরা ঋণের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
১৮ থেকে ৬৫ বছর বয়সী দেশের যেকোনো নাগরিক ঋণের জন্য আবেদন করতে পারবেন। ফ্লাট ঋণের ক্ষেত্রে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত ডেভেলপারের নির্মাণ করা ফ্লাট ক্রয়ে আগ্রহী হতে হবে।
কর্মকর্তারা জানান, গ্রুপে আবাসিক ভবন নির্মাণ করতে চাইলে গ্রুপ ঋণের জন্য আবেদন করা যাবে। সরকারি চাকরিজীবী এবং কর্মজীবী নারীরা আবাসন ঋণের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। ঋণ গ্রহীতার মাসিক কিস্তি পরিশোধের যৌক্তিক সার্মথ্য থাকতে হবে।
ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকা ছাড়া দেশের সব বিভাগীয় ও জেলা সদর এলাকার জন্য ৮.৫ শতাংশ সুদ হারে ৬০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাওয়া যাবে। পেরি আরবান, উপজেলা সদর ও গ্রোথ সেন্টার এলাকায় ৮.৬ শতাংশ সুদে ৫০ লাখ পর্যন্ত বাড়ি নির্মাণের জন্য একক ঋণ দেওয়া হয়।
বাড়ি নির্মাণের জন্য গ্রুপ ঋণের ক্ষেত্রে ৮.৫ শতাংশ সুদে ৪০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হয়।
ফ্লাট ক্রয়ের জন্য ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকা ছাড়া দেশের সব বিভাগীয় ও জেলা সদর এলাকার জন্য ১০ শতাংশ সুদে ৬০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হয়।
পেরি আরবান ও উপজেলা সদর ও গ্রোথ সেন্টার এলাকায় ৯ শতাংশ সুদে ৪০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হয়। তবে ঋণ পরিশোধের মেয়াদের ওপর সুদ কমবেশি হতে পারে।
হাউস বিল্ডিং ফাইনান্স কর্মকর্তারা বলেন, শহরের ওপর জনগণের অব্যাহত চাপ কমানো, পল্লি এলাকার মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন, শহরে ঘনবসতির চাপ কমানোসহ আরো অনেকগুলো কারণে এ ‘পল্লীমা ঋণ প্রকল্প’ চালু করেছে সরকার। এতে গ্রামাঞ্চলের মানুষের আবাসন সুবিধা বৃদ্ধিতেও সহায়ক হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৭
এমএইচ/জেডএস