১ হাজার ৭৯১ কোটি টাকা ব্যয়ে চলতি সময় থেকে ২০২০ সালের জুন মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে।
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় মঙ্গলবার (২৫ ডিসেম্বর) অনুমোদন পেয়েছে প্রকল্পটি।
বেশি ব্যয়ের মধ্যে সংশোধিত আকারে ‘রংপুর বিভাগীয় গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্পের মোট ব্যয় ২ হাজার ৮৮৪ কোটি টাকা।
সকালে রাজধানীর শেরে বাংলানগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ প্রমুখ একনেক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
রেলইঞ্জিন-কোচ কেনার প্রকল্পটির কার্যপত্রে জানা গেছে, মেকানিক্যাল কোড অনুসারে যাত্রীবাহী রেলকোচের স্বাভাবিক আয়ুষ্কাল ৩৫ বছর। অথচ রেলের ১ হাজার ১৬৫টি যাত্রীবাহী মিটারগেজ (এমজি) কোচের মধ্যে ৪৫৬টিরই বয়স ৩৫ বছরের বেশি। অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল পার হয়ে যাওয়ার পথে আরও ১৩৫টি কোচের বয়সও ৩১ থেকে ৩৪ বছরের মধ্যে। ফলে অর্ধেকেরও বেশি ৫৯১টি কোচই বিভিন্ন ত্রুটি-বিচ্যুতি নিয়ে চলাচল করায় যাত্রীদের নিরাপদ ও আরামদায়ক ভ্রমণ নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। বেশি পুরনো কোচের স্থলে রেলবহরে যুক্ত করতেই ১৫০টি দক্ষিণ কোরিয়ান নতুন রেলকোচ কেনা হচ্ছে।
অন্যদিকে বর্তমানে রেলওয়েতে ১৮৬টি মিটারগেজ এবং ৯৬টি ব্রডগেজসহ ২৮১টি ইঞ্জিন রয়েছে। এসব ইঞ্জিনের অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল ২০ বছর হলেও ১১০টি মিটারগেজ এবং ৫৮টি ব্রডগেজসহ ১৬৮টির বয়স ৩০ বছর অতিক্রম করেছে। ব্যয়বহুল মেরামত ও বেশি জ্বালানি ব্যয়ে মেয়াদোত্তীর্ণ এসব রেলইঞ্জিন সচল রাখা হয়েছে। অনেক পুরনো মডেল হওয়ায় মেরামতের প্রয়োজনীয় খুচরা যন্ত্রাংশও পাওয়া যাচ্ছে না। রেলইঞ্জিন বহর থেকে সেগুলো প্রত্যাহার করে নতুন কেনা ১৫০টি প্রতিস্থাপিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৭
এমআইএস/এএসআর