বিক্রেতা দেলোয়ার বললেন, ‘১১টা বাজে এখন পর্যন্ত কিছু বিক্রি হয়নি। তবে বেলা বাড়লে ক্রেতা আসবে এই আশায় বসে আছি।
কিছুক্ষণ পর জুলেখা নামের একজন নারী এসে ৫ কেজি আটা কিনলেন। জুলেখার কাছে জানতে চাইলাম, ‘দোকানেও তো আটা আছে। তাহলে এখান থেকে কেন কিনলেন?’
জবাবে জুলেখা বললেন, ‘এখানে একটু কমে পাওয়া যায়, তাই এখান থেকে কিনি। এক টাকাও আমাদের কাছে অনেক কিছু। ’
বিক্রেতা দেলোয়ার হোসেন বললেন, ‘রমজানে বেচাকিনা বেশি হয়। তখন লাভও হয়। এখন গাড়ি ভাড়া ও খরচ বাদ দিয়ে লাভ করা কঠিন। কিছুদিন লসও দিতে হবে। ’
‘লস কেন?’-- জবাবে তিনি বললেন, ‘ওএমএস কার্যক্রম চালু থাকলে চাল কম দামে দেয়া যায়, তখন ক্রেতা বেশি থাকে। এখন যে চাল ৪৫ টাকায় দিচ্ছি এটা ৪০ টাকায় দিতে পারলে ক্রেতা বেশি পাওয়া যেত। তাই ওএমএস কার্যক্রম চালু করলে আমাদেরও লাভ হতো, জনসাধারণও উপকৃত হতো। ’
সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত খোলাবাজারে চাল-ডাল, আটা-তেল বিক্রি করা হয় বলে জানান তিনি। তবে বেচাকেনা কম হওয়ায় ৫টার পরেও থাকেন।
দাম জানতে চাইলে দেলোয়ার বলেন, ‘৫ লিটারের তীর সয়াবিন তেল আমরা বিক্রি করি ৪৯০ টাকায়। এটা বাজারে বিক্রি হয় ৫৪০ টাকায়। শক্তি সয়াবিন তেল ৫ লিটার ৪৭০ টাকায় দিচ্ছি। বাজারে দাম ৫২০ টাকা। টিসিবির ডাল প্রতি কেজি ৭০ টাকা। বাজারে এটা ৮০/৯০ টাকায় বিক্রি হয়। প্রতিকেজি আটা এখানে দেয়া হচ্ছে ২৪ টাকায়। বাজারে প্যাকেটজাত আটার কেজি ৩২ টাকা। সেখানে ২৪ টাকায় আটা পেয়ে অনেকেই কিনতে আগ্রহী হচ্ছেন। ’
তবে গাড়িতে যে চাল দেখা গেল, তার মান খুব একটা ভাল না। বিক্রি করা হচ্ছে ৪৫ টাকা কেজি দরে।
এ ব্যাপারে দেলোয়ার বলেন, এই চাল থাইল্যান্ড থেকে আমদানি করা। খাদ্য মন্ত্রণালয় আমাদের দিয়েছে। চালের মধ্যে লাল চাল রয়েছে বলে ক্রেতারা এটা পছন্দ করছেন না। তবে খেতে খারাপ না।
বাংলাদেশ সময়:১৯০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৭
এমএইচ/জেএম