মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) দরপত্র জমার শেষ দিন ছিল। দরপত্রগুলোর অনুকূলে সিডিউল মূল্য ছিল সর্বোচ্চ দুই হাজার টাকা, সর্বনিন্ম এক হাজার টাকা।
বাগেরহাট জেলা ঠিকাদার কল্যাণ সমিতির সদস্য সচিব আব্দুর রব সরদার বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) বাংলানিউজকে বলেন, ‘ব্যবহৃত নির্মাণ সামগ্রীর দাম কয়েকগুণ বেড়েছে। কিন্তু এলজিইডি বাজারদরের সঙ্গে সমন্বয় না করে যে দরপত্র আহ্বান করেছে, তা অযৌক্তিক। এ কাজে লাভ হবে না, বরং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে লোকসানের মুখে পড়তে হবে। তাই আমরা দরপত্রে অংশ নেইনি’।
বর্তমান বাজারদরের সঙ্গে (পুরানো রেটকোড) সমন্বয় করে নতুন দরপত্র আহ্বানেরও দাবি জানান এ ঠিকাদার নেতা।
বাগেরহাট এলজিইডি’র জ্যেষ্ঠ সহকারী প্রকৌশলী ও দরপত্র আহ্বান কমিটির সভাপতি মো. আবু কামাল বলেন, ‘নয়টি উপজেলায় গ্রামীণ অবকাঠামো রাস্তা, কালভার্ট ও ব্রিজ সংস্কারে এ মাসের প্রথম সপ্তাহে ৩২টি প্যাকেজে ২২ কোটি টাকার দরপত্র আহ্বান করা হয়। তখন জেলার বাইরের পাঁচটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিডিউল কিনে জমা দিলেও কাগজপত্র সঠিক না থাকায় বাতিল হয়ে যায়। পরে চলতি সপ্তাহে একই কাজে দ্বিতীয়বারের মতো দরপত্র আহ্বান করি। কিন্তু এবার কোনো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানই অংশ নেয়নি। তাই দ্বিতীয়বারের মতো দরপত্র বাতিল হল। জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে এ কাজে তৃতীয় দফায় দরপত্র আহ্বান করা হবে। তখন কোনো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অংশ না নিলে নিয়ম অনুসারে বরাদ্দ হওয়া টাকা অন্য জেলার উন্নয়ন কাজের জন্য ফেরত যাবে’।
‘দরপত্র আহ্বানের আগে নির্মাণ সামগ্রীর বাজারদর যাচাই-বাছাই করা হয়। যখন এ রেটকোড করা হয়েছিল, তখন বাজারদরের সঙ্গে সমন্বয় ছিল। সে অনুসারেই আমরা দরপত্র আহ্বান করি। এখন দুয়েকটি সামগ্রীর দাম বেড়েছে হয়তো। তাতে দরপত্রে অংশ না নেওয়ার কোনো কারণ নেই’।
ঠিকাদারদের এ ধরনের আচরণে রাজস্ব খাত থেকে বরাদ্দ হওয়া ২২ কোটি টাকা ফেরত গেলে বাগেরহাটবাসী উন্নয়ন বঞ্চিত হবেন বলেও দাবি তার।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৭
এএসআর