দু’রকম সারেরই দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৩১৯ দশমিক ৫০ ডলার। এতে মোট ব্যয় হবে ১৯২ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৩৩ লাখ মেট্রিক টন ইউরিয়া সারের চাহিদা রয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি)। এর মধ্যে মজুদ রয়েছে ৯.৭৫ লাখ মেট্রিক টন, বিসিআইসির নিজস্ব কারখানায় উৎপাদন করা যাবে ১০.৪০ লাখ মেট্রিক টন। সে হিসাবে চলতি মৌসুমে সরকারকে আমদানি করতে হবে ১১.৮৫ লাখ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার। পর্যায়ক্রমে এসব সার আমদানি করা হবে।
এছাড়াও দু’টি দেশ থেকে ১৪ লাখ টন ক্রুড অয়েল আমদানির ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, বৈঠকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আলাদা দু’টি প্রস্তাবে বৈঠকে ২০১৮ সালের জ্বালানি তেলের চাহিদা মেটাতে সৌদি আরব ও আবুধাবি থেকে সরকারি পর্যায়ে ১৪ লাখ টন ক্রুড অয়েল আমদানির একটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এজন্য ব্যয় হবে চার হাজার ৯০১ কোটি ৬ লাখ টাকা।
উপকূলীয় অঞ্চলে চোরাচালান, ডাকাতি, মাদক ও মানবপাচার প্রতিরোধে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের জন্য দুটি টাগ বোট ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে ব্যয় হবে ১৫০ কোটি টাকা। উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে বোট দু’টি সরবরাহ করবে খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেড।
এছাড়াও আরও কয়েকটি প্রস্তাব বৈঠকে অনুমোদন পেয়েছে বলে জানিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৭
এসই/এএ