ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

স্বস্তি ফিরেছে সবজিতে, পেঁয়াজের দামও নিম্নমুখী! 

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৭
স্বস্তি ফিরেছে সবজিতে, পেঁয়াজের দামও নিম্নমুখী!  সবজি বাজার-ছবি-বাংলানিউজ

ঢাকা: চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে সবজি বাজারে স্বস্তি ফিরতে শুরু করে। মাসের শেষ সপ্তাহে এসেও সবজি বাজারের স্বস্তি বজায় রয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে চলা বাজার দরের তাণ্ডবে অতিষ্ঠ ছিলেন ক্রেতারা। দেরিতে হলেও সবজির দাম কমায় ক্রেতারা খুশি।

গত সপ্তাহের তুলনায় আরেক দফা দাম কমেছে পেঁয়াজের। তবে গত সপ্তাহের মতো শুধু দেশি পেঁয়াজেরই দাম কমেছে।

দাম কমেনি আমদানি করা পেঁয়াজের।

সর্বশেষ খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী, এক কেজি দেশি পেঁয়াজের দাম ৭০ টাকা যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০-৯০ টাকা। আমদানি পেঁয়াজ গত সপ্তাহের দামেই বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা দরে।

বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর লালবাগের কাঁচাবাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।

দেশি পেঁয়াজের দাম কমতি ও আমদানি করা পেঁয়াজের বাড়তি দাম সম্পর্কে বিক্রেতারা বলেন, বাজারে দেশি নতুন পেঁয়াজ আসছে বলে পেঁয়াজের দাম কমেছে। কিন্তু ভারতীয় বাজারে পেঁয়াজের দাম না কমার কারণে দেশীয় বাজারে দাম কমছে না।

পেঁয়াজ-ছবি-বাংলানিউজআবার পেঁয়াজের কয়েকজন খুচরা বিক্রেতা বলছেন, আমদানি করা পেঁয়াজের দাম এতো বেশি না। দেশীয় পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পাইকারি ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে রাখবে।

শীতের সবজি বাজারে প্রচুর পরিমাণে আসায় দাম স্বাভাবিক হয়েছে। সর্বশেষ সবজির খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি কেজি ধনিয়াপাতা ১০০ টাকা, বেগুন ৩০ টাকা, কাঁচামরিচ ৬০ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা, সিম ২৫ টাকা, দেশি টমেটো ৬০ টাকা ও আমদানি করা টমেটো ৮০ টাকা ও দেশি কাঁচা টমেটো ৩০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, শসা ৩০-৪০ টাকা, মুলা ১৫ টাকা, আলু ২০ টাকা, প্রতি পিস বাঁধাকপি ২০ টাকা, প্রতি পিস ফুলকপি ২০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৩৫ টাকা, শশা ৩৫ টাকা, পেঁয়াজ পাতা এক আটি ১০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দুই আটি লাল শাক ১৫ টাকা ও দুই আটি পালং শাক ১৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

লালবাগ কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা সজিব বাংলানিউজকে বলেন, সবজির বাজার এখন স্বাভাবিক। বাজারে প্রচুর শীতের সবজির সরবরাহ থাকায় দাম স্বাভাবিক। সবজির দাম আগামীতে আরও কমবে।  

একই বাজারে সবজি কিনতে এসেছেন অপু। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বাজারে এখনও চাল ও পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক পর্যায়ে রয়েছে। তবে সবজির দাম কিছুটা কমায় স্বস্তি এসেছে ক্রেতাদের মনে।  

সবজির দাম কমলেও চালের বাজারের তাণ্ডব এখনও কমছে না। সর্বশেষ খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী, কেজি প্রতি নাজিরশাইল চাল ৭০ টাকা, মিনিকেট ৬২-৬৫ টাকা, বিআর-২৮ প্রতি কেজি ৫৫ টাকা, পারিজা কেজি প্রতি  ৪৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

লালবাগের চাল বিক্রেতা শাহিন বাংলানিউজকে বলেন, দাম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই। আমরাই বেশি দামে চাল কিনছি। ক্রেতাদের অবস্থা তো আরও খারাপ।

অন্যদিকে সর্বশেষ খুচরা বাজারের দর অনুযায়ী, দেশি রসুন ৮০ টাকা, আমদানি রসুন ৮৫ টাকা, চিনি ৫৫-৬০ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১০০ থেকে ১২০ টাকা, আমদানি করা মসুর ডাল ৬০ টাকা করে কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

অপরিবর্তিত রয়েছে সব নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ও মাছ মাংসের দাম।

মাছের বাজার-ছবি-বাংলানিউজমাছের সর্বশেষ বাজার দর প্রতি কেজি কাতল মাছ ২২০ টাকা, পাঙ্গাশ মাছ ১২০ টাকা, রুই মাছ ২৩০-২৮০ টাকা, সিলভারকার্প ১৩০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০ টাকা, শিং মাছ ৪০০ টাকা ও চিংড়ি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাংসের দাম রয়েছে অপরিবর্তিত। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৪২০-৫০০ টাকা, খাসির মাংস ৭০০-৭৫০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগি ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কক মুরগি প্রতি পিস সাইজ অনুযায়ী ১৫০-২২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১০১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৭
এমএসি/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।