ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ঝাঁজ কমছে না পেঁয়াজের, অস্থির চালের বাজার

মনি আচার্য্য, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৭
ঝাঁজ কমছে না পেঁয়াজের, অস্থির চালের বাজার বাজারে লাগামহীনভাবে ছুটতে থাকা পেঁয়াজ/ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: চলতি বছরের মতো পেঁয়াজের ঝাঁজে ক্রেতাদের নাজেহাল হতে হয়নি কখনও। দেশি-আমদানি করা উভয়ের দামই এখনও আকাশ ছোঁয়া। বাজারে নতুন পেঁয়াজের দেখা মিললেও সেই অর্থে কমছে না দাম। ওঠা-নামা করছে ৭০-৮০ টাকার মধ্যে। আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজের দামও রয়েছে সমান তালে। চালের দরও নাগালে আসছে না কিছুতেই। বাড়তি সব ধরনের চালের দাম।

বছরের শেষ মাসের শেষ সপ্তাহে এসে দেশি পেঁয়াজের দাম অল্প অল্প করে কমতে থাকলেও দাম কমার লক্ষণ নেই আমদানি করা পেঁয়াজের।  

বাজারে নতুন দেশি পেঁয়াজের চালান আসায় ১৪০ টাকা থেকে দাম কমে এখন কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়।

আর সবশেষ খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী, আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়।

শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর মোহাম্মদপুর কাঁচাবাজার ঘুরে এ তথ্য জানা যায়।

আমদানি করা পেঁয়াজের দাম নিয়ে বিক্রেতারা বলছেন, দেশি পেঁয়াজের দাম এখনো স্বাভাবিক নয়। ফলে আমদানি করা পেঁয়াজের ওপর চাপ বেশি। এছাড়া ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ অনেক বেশি দাম দিয়ে কিনতে হয় বলে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
শীতের টাটকা সবজি
খুচরা বিক্রেতা লিপন বাংলানিউজকে বলেন, দেশি পেঁয়াজের দামের বিষয়টি জেনে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়েছিলেন। কিন্তু এখন দেশি পেঁয়াজের দাম কমলেও দাম কমাচ্ছেন না তারা।  

একই বাজারের আরেক খুচরা ব্যবসায়ী সফর মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, দেশি পেঁয়াজের দাম যতদিন পর্যন্ত স্বাভাবিক না হবে ততদিন পর্যন্ত আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কমবে না। দেশি পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক হলেই পাইকারি ব্যবসায়ীরা তখন কম দামে আমদানি করা পেঁয়াজ ছাড়বেন।

এদিকে বাজারে শীতের সবজির সরবরাহ বাড়ায় দাম কমেছে সব সবজির। সবজি বাজারের স্বস্তি ক্রেতাদের জন্য খুশির খবর বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা।

সবশেষ সবজির খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিকেজি বেগুন ৩০ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা, সিম ২৫ টাকা, মূলা ১৫ টাকা, ধনিয়াপাতা ১০০ টাকা, কাঁচামরিচ ৬০ টাকা, দেশি টমেটো ৬০ টাকা ও আমদানি করা টমেটো ৮০ টাকা, দেশি কাঁচা টমেটো ৩০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, শসা ৩০-৪০ টাকা, আলু ২০ টাকা, প্রতিপিস বাঁধাকপি ২০ টাকা, প্রতিপিস ফুলকপি ২০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৩৫ টাকা, পেঁয়াজ পাতা এক আঁটি ১০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া লালশাক, পালং শাক ও ডাঁটা শাক প্রতি আঁটি বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা করে।
বাজারে হরেক মাছ
একই বাজারে বাজার করতে আসা ক্রেতা শাহিন বাংলানিউজকে বলেন, সবজির দাম স্বাভাবিক। তবে পেঁয়াজ ও চাল এখনো বাজারে তাণ্ডব চালাছে। সারাবছরই এবার বাজার দর কাঁদিয়েছে ক্রেতাদের।

চালের বাজারের তাণ্ডব এখনো কমছে না। সবশেষ খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী, কেজিপ্রতি নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা, মিনিকেট ৬২-৬৫ টাকা, বিআর-২৮ ৫৫ টাকা, পারিজা কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪৬ টাকা।

রসুন ৮০ টাকা, আমদানি রসুন ৮৫ টাকা, চিনি ৫৫-৬০ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১০০ থেকে ১২০ টাকা, আমদানি করা মসুর ডাল ৬০ টাকা করে কেজি বিক্রি হচ্ছে।

অপরিবর্তিত রয়েছে সব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও মাছ মাংসের দাম।

মাছের সবশেষ বাজার দর প্রতিকেজি কাতল মাছ ২২০ টাকা, পাঙ্গাশ  ১২০ টাকা, রুই ২৩০-২৮০ টাকা, সিলভারকার্প ১৩০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০ টাকা, শিং ৪০০ টাকা ও চিংড়ি ৪৫০ থেকে ৫০০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাংসের বাজার রয়েছে গত সপ্তাহের দর অনুযায়ী। প্রতিকেজি গরুর মাংস ৪২০-৫০০ টাকা, খাসির মাংস ৭০০-৭৫০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগি ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কক মুরগি প্রতি পিস সাইজ অনুযায়ী ১৫০-২২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে ।

বাংলাদেশ সময়: ১১২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৭
এমএসি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।