ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

খুলনাঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত ৮ পাটকল শ্রমিকদের কর্মবিরতি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৭
খুলনাঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত ৮ পাটকল শ্রমিকদের কর্মবিরতি স্টার জুট মিলের মূলফটক/ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

খুলনা: খুলনাঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত ৮টি পাটকলের শ্রমিকরা বকেয়া মজুরির দাবিতে কর্মবিতরতি পালন করছেন।

শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় এসব পাটকলের শ্রমিকরা কাজে যোগদান না করে দ্বিতীয়দিনের কর্মবিরতি শুরু করেন। এতে খুলনা-যশোর অঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত ৯টি পাটকলের মধ্যে ৮টিরই উৎপাদন কাজ বন্ধ রয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল থেকে রাত পর্যন্ত স্টার, প্লাটিনাম, দৌলতপুর, ক্রিসেন্ট, ইস্টার্ন, জেজে আই ও আলীম মোট ৭টি জুট মিলের উৎপাদন বন্ধ করে দেয় শ্রমিকরা। এদিন চলেছে কার্পেটিং এবং খালিশপুর জুট মিল।

শনিবার থেকে কার্পেটিং জুট মিলের শ্রমিকরা কাজে যোগদান করলেও খালিশপুর জুট মিলের কোনো শ্রমিক উৎপাদন কাজে যোগ দেয়নি। শ্রমিকরা খালিশপুর বিআইডিসি রোডে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন।

বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৯টায় ৮সপ্তাহের মজুরির দাবিতে প্লাটিনাম জুট মিলের উৎপাদন বন্ধ করে দেয় শ্রমিকরা। পরবর্তীতে সকাল ১০টায় একে একে ক্রিসেন্ট, দৌলতপুর ও স্টার জুট মিলের শ্রমিকরা তাদের মিলের উৎপাদন বন্ধ রেখে বিক্ষোভ শুরু করে।  এ চারটি মিল বন্ধের সংবাদ পেয়ে দুপুর ২টার দিকে আটরা-গিলাতলা শিল্পাঞ্চলের ইস্টার্ন এবং যশোর অভয়নগরের জে জে আই জুট মিলের উৎপান বন্ধ করে দেয় শ্রমিকরা। ওই দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আলীম জুট মিলের শ্রমিকরা উৎপাদন বন্ধ করে দেয়। আর শনিবার খালিশপুর জুট মিলের শ্রমিকরা উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে।

পাটকলগুলোর সূত্র জানায়, খুলনা অঞ্চলের ৯টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের মধ্যে ক্রিসেন্ট জুট মিলে প্রায় ৫ হাজার, প্লাটিনামে সাড়ে ৪ হাজার, স্টারে সাড়ে ৪ হাজার, দৌলতপুর জুট মিলে সাড়ে ৬শ’, ইস্টার্নে ২ হাজার, আলীমে দেড় হাজার এবং জেজেআই জুট মিলে ২ হাজার ৬শ’ এবং খালিশপুর জুট মিলে প্রায় সাড়ে চার হাজার শ্রমিক রয়েছেন। এসব পাটকলের শ্রমিকদের চার থেকে ১২ সপ্তাহের মজুরি বকেয়া রয়েছে।

ইস্টার্ন জুট মিলের সিবিএ সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন বলেন, বর্তমানে ৯টি পাটকলের ৮টি পাটকল বন্ধ রেখেছে শ্রমিকরা।

ক্রিসেন্ট জুট মিলের সাধারণ সম্পাদক মো. সোহরাব হোসেন বলেন,  শ্রমিকদের চার থেকে ১২ সপ্তাহের মজুরি বকেয়া থাকায় তাদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। তারা হঠাৎ করেই বৃহস্পতিবার ৭টি পাটকলের উৎপাদন বন্ধ করে দেয়। শনিবার আরও একটি বন্ধ করেছে। শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা পরিশোধে মিল কর্তৃপক্ষ গড়িমসি করছে। দ্রুত শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধের দাবি জানান তিনি।

প্লাটিনাম জুট মিলের শ্রমিক মো. মিজানুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মজুরি না পাওয়ায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে শ্রমিকরা মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৭
এমআর/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।