ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

মিলারদের কারসাজিতে বাড়ছে চিকন চালের দাম

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৪১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৮
মিলারদের কারসাজিতে বাড়ছে চিকন চালের দাম বেড়েছে চিকন চালের দাম (ফাইল ছবি)

ঢাকা: সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি ও খুচরা বাজারে হঠাৎ করেই বেড়েছে মিনিকেট বা চিকন চালের দাম। কেজি প্রতি ২-৩ টাকা বেশি দামে চাল বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। পাইকারি বাজারেও ৫০-৬০ টাকা বেশি দরে ৫০ কেজির বস্তা বিক্রি হচ্ছে।

চিকন চালের দাম বৃদ্ধিতে নিম্ন মধ্যবিত্তের ঘরের চুলায় যে মোটা চাল যায় সেটিরও দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন বিক্রেতারা। আর এরইমধ্যে অনেকে মোটা চাল ১-২ টাকা বেশি দরে বিক্রি করছেন।

খুচরা ও পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ীরা বলছেন, হঠাৎ করে চিকন চালের দাম বৃদ্ধির কোনো কারণ তারা দেখছেন না। মিনিকেট চালের মিল মালিকদের কারসাজিতে হঠাৎ করে চিকন চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বলেই অভিযোগ তাদের।  

সাপ্তাহিক ছুটির দিন শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) মিরপুরের কয়েকটি বাজার ঘুরে খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে চালের দামের ভিন্নতা দেখা গেছে।

মিরপুরে-৬ নম্বর সেকশনে মসজিদ মার্কেটে মেসার্স নর্থ বেঙ্গল জেনারেল স্টোরের মালিক এসএম আলাউল হক রনি জানান, রশিদের মিনিকেট চালের বস্তা এক সপ্তাহ আগে ৩ হাজার ৫০ টাকা ব্রিক হলেও এখন ৩ হাজার ১৫০ টাকা, মোজাম্মেলের মিনিকেটেও একই দাম বেড়েছে। মিনিকেট হিসেবে চিকন চাল মূলত মোজাম্মেল ও রশিদের মিল থেকেই আসে।

খুচরা হিসেবে মিনিকেট চাল ৬৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করতে হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, শুনেছি দাম আরও বেড়েছে। এর প্রভাব খুচরা বাজারেও পড়বে।

চালের দাম বৃদ্ধির তারতম্য দেখা গেলো ফকিরবাড়ি বাজারে। জামালপুর রাইস এজেন্সির প্রোপাইটার শরিফুল ইসলাম সবুজ জানান, রশিদের মিনিকেট ও মোজাম্মেলের মিনিকেটের বস্তা সপ্তাহের ব্যবধানে ৬০ টাকা বেড়ে ৩ হাজার ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে রহমান স্পেশাল ও জবা কাটিং মিনিকেটের বস্তার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। রহমান স্পেশাল ৩ হাজার ২৮০ টাকা এবং জমা মিনিকেট ২ হাজার ৭৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  

আর মোটা চালের মধ্যে রাব্বি-২৮ ২ হাজার ৪৫০ টাকা, তাজমহল বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৩৫০ টাকায়।

নর্থ বেঙ্গল জেনারেল স্টোরের মালিক রনি অভিযোগ করেন, সবই রশিদ-মোজাম্মেলের কারসাজি। তার ভাই নওগাঁয় ধানের ব্যবসা করে জানিয়ে তিনি বলেন, ধানের দাম বাড়েনি। তাহলে কেন চালের দাম বাড়লো?

ফকিরবাড়ি বাজারের চাল ব্যসায়ী সবুজ বলেন, ভারত থেকেও চাল আসছে। চাল আসা বন্ধ হলে না হয় দাম বাড়তো। এখন বৃদ্ধির কোনো কারণই নেই।

রাজনৈতিক কারণেও চালের দাম বাড়তে পারে মন্তব্য করে তিনি বলেন, সামনে নির্বাচনের সময় হয়তো দাম কমবে। সরকারের চাপে বাধ্য হয়েই তখন দাম কমাবে।

এদিকে, পাইকারি বাজারে মিনিকেট চালের দাম বৃদ্ধির কারণে খুচরা বাজারেও প্রভাব পড়েছে। দাম বেড়েছে মোটা চালেরও।

মিরপুর সেনপাড়া এলাকার মুদি দোকানদার মোজাম্মেল হক জানান, মিনিকেট ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর মোটা চাল ৫৫ টাকা। মিনিকেট চালের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে ২ টাকা। মোটা চালেও কেজিতে ১ টাকা বেশি।

মিরপুর-৬ নম্বরের মসজিদ মার্কেটে খুচরা হিসেবে মিনিকেট চাল কিনতে আসা এক ক্রেতা বলেন, কেজিতে ২/৩ টাকা বাড়লে মাস শেষে খরচও বেড়ে যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৮
এমআইএইচ/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।