ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

৫০ এর নিচে নামছে না পেঁয়াজের বাজার দর!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪২৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৮
৫০ এর নিচে নামছে না পেঁয়াজের বাজার দর! ছবি: শাকিল-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: চলতি মাসের দুই সপ্তাহ ধরে পেঁয়াজের বাজার দর আটকিয়ে আছে ৫০-৫৫ তে। আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কমে গেলে স্থিতিশীল অবস্থায় দাম চলে আসবে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।

এক হিসেবে দেখা গেছে, ভারত থেকে পেঁয়াজ আনতে ক্রয়মূল্যসহ প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম দাঁড়াচ্ছে ১৭ টাকা করে। আর এ ১৭ টাকা করে কেনা পেঁয়াজই দেশীয় বাজারে ক্রেতাদের কিনতে হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি করে।

অন্যদিকে দেশি পেঁয়াজের ভালো ফলন হয়েছে বলে চাষিরা বলেছেন। তবে কিছু চাষ নষ্ট হলেও তা সংকটের পর্যায়ে চলে যায়নি। তারপরও দেশি পেঁয়াজের দর চলছে বাজারে এখন ৫৫ টাকা।

এদিকে স্থিতিশীল পর্যায়ে পেঁয়াজের দাম না এসে এক জায়গায় থেমে থাকায় ক্রেতাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে। ক্রেতারা বলছেন, আগে দাম বেশি দিয়ে কিনতেন বলে বেশি দামে বিক্রি করতেন বিক্রেতারা। এখন দাম কমার পরেও কেন বেশি?

তবে ক্রেতাদের এমন প্রশ্নের সঠিক কোনো জবাব দিতে পারেননি বিক্রেতারা।

শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের পাইকারি বিক্রেতা ও হাতিরপুল কাঁচা বাজারের খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা যায়।

কারওয়ান বাজারের সর্বশেষ পাইকারি বাজারের তথ্য অনুযায়ী গত সপ্তাহের মতোই প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৪৫ টাকা ও আমদানি করা পেঁয়াজ ৪২ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

হাতিরপুল কাঁচা বাজারের সর্বশেষ খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৫০ ও আমদানি করা পেঁয়াজ ৫৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজের পাইকারি বিক্রেতা মো. শাকিল বাংলানিউজকে বলেন, আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কমেছে ঠিকই, কিন্তু আগের চালানের অনেক পেঁয়াজ রয়ে গেছে। তাই দাম সমন্বয় করে বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে দ্রুত দুই প্রকার পেঁয়াজের দাম কমবে বলে আশা রাখছি।

হাতিরপুল কাঁচা বাজারের পেঁয়াজের খুচরা বিক্রেতা শামীম বাংলানিউজকে বলেন, পাইকারি ব্যবসায়ীরা একেক সময় একেক ধরনের কথ বলছেন। আসলে তারা চায় না এতো দ্রুত পেঁয়াজের দাম কমুক। আর আমরা বেশি দিয়ে কিনে বেশি দামে তো বিক্রি করবোই।

সবজি বাজারের সু-বাতাস এখনো ক্রেতাদের জন্য বিরাজমান রয়েছে। তবে এর মধ্য দুই-একটি সবজির দাম অবশ্য বেড়ে গেছে বলে বিক্রেতারা জানিয়েছেন।

সর্বশেষ সবজির খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী প্রতি কেজি টমেটো ৩৫-৪০ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, বেগুন ৪০ টাকা, সিম ৪০ টাকা, মুলা ১৫ টাকা, কাঁচামরিচ ৮০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৪০ টাকা, আলু ২০ টাকা, প্রতি পিস বাঁধাকপি ও ফুলকপি ২০-২৫ টাকা, লাল শাক, পালং শাক ও ডাটা শাক দুই আঁটি ১৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। তবে প্রতি কেজি শসা ৪০ টাকা থেকে ৮০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে প্রতি সপ্তাহের মতো এ সপ্তাহেও চালের বাজারে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে ক্রেতাদের। চালের সর্বশেষ খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী কেজি প্রতি নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৮-৭০ টাকা, মিনিকেট ৬০-৬২ টাকা, বিআর-২৮-৫২ টাকা, পারিজা কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪৪ টাকা।

হাতিরপুল কাঁচা বাজারে শুক্রবারে সাপ্তাহিক বাজার করতে আসা ক্রেতা রাহাত বাংলানিউজকে বলেন, কিছুদিন ভালোই পেঁয়াজের দাম কমে ছিলো। কিন্তু এখন ৫০-৫৫ তে এসে থেমে গেছে। বিভিন্ন সংবাদ মধ্যমে দেখেছি আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কমছে, তবে বাজারে এতো বেশি কেন?

এছাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে রসুন, চিনি, আদা, ডালের দাম।

সর্বশেষ খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী দেশি রসুন ৮০ টাকা, আমদানি করা রসুন ৮৫ টাকা, চিনি ৫৫-৬০ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১০০-১২০ টাকা ও আমদানি করা মসুর ডাল ৬০ টাকা কেজি করে বিক্রি হচ্ছে।

মাছ ও মাংসের দামও রয়েছে গত সপ্তাহের মতোই। মাছের সর্বশেষ খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী প্রতি কেজি কাতল মাছ ২২০ টাকা, পাঙ্গাশ  ১২০ টাকা, রুই ২৩০-২৮০ টাকা, সিলভার কার্প ১৩০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০ টাকা, শিং ৪০০ টাকা ও চিংড়ি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

প্রতি কেজি গরুর মাংস ৪০০-৪৫০ টাকা, খাসির মাংস ৭০০-৭৫০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সোনালী মুরগি প্রতি পিস সাইজ অনুযায়ী ১৫০-২২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১০২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৮
এমএসি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।