ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

চাল-পেঁয়াজের দরে কাটছে না অস্বস্তি 

মনি আচার্য্য, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৩৭ ঘণ্টা, মার্চ ২, ২০১৮
চাল-পেঁয়াজের দরে কাটছে না অস্বস্তি  যাত্রাবাড়ী বাজারে পেঁয়াজ ও সবজি সাজিয়ে বসেছেন এক বিক্রেতা/ছবি: শাকিল

ঢাকা: দীর্ঘ সময় ধরে চাল ও পেঁয়াজের ঊর্ধ্বমুখী দাম ক্রেতাদের ভোগাচ্ছে অস্বস্তিতে। বিক্রেতারা বারবার পণ্য দু’টির দাম কমার আশ্বাস দিলেও এর সুফল পাচ্ছেন না ক্রেতারা। বরং সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে দাম। পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমলেও তা এখনো পর্যন্ত আসেনি ক্রেতার হাতের নাগালে।

খুচরা বাজারে পেঁয়াজের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশি ও আমদানি করা পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে খুচরা বিক্রেতাদের তথ্য অনুযায়ী, নাজিরশাইল কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৭৩ টাকা, ১ নম্বর মিনিকেট ৬৫, সাধারণ মিনিকেট ৬২,  বিআর-২৮ ৫৫ টাকা ও স্বর্ণা এবং পারিজা বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা কেজিতে।

শুক্রবার (২ মার্চ) যাত্রাবাড়ী কাঁচাবাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা যায়।

যাত্রাবাড়ী কাঁচাবাজারের পেঁয়াজের খুচরা বিক্রেতা জামাল বাংলানিউজকে বলেন, পেঁয়াজের দাম এই কমছে এই বাড়ছে। বাজারের মতিগতি আমরা নিজেরাও বুঝতে পারছি না। পাইকারি ব্যবসায়ীরা এখনো পেঁয়াজের ফলন নষ্ট ও আমদানি সমস্যার কথা বলে যাচ্ছেন। ফলে বেশি দাম কিনে আমাদের বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।

মাছ বাজারে রয়েছে পর্যাপ্ত সরবরাহচালের খুচরা বিক্রেতা কবির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, চালের দাম দ্রুত কমার সম্ভাবনা নেই। অনেকে বলেন বাজারে বোরো মৌসুমের চাল এলে নাকি দাম কমে। তবে এর থেকে দাম আর খুব বেশি কমবে বলে মনে হচ্ছে না।

এদিকে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সবজি বাজারে ক্রেতাদের স্বস্তি থাকলেও চলতি সপ্তাহে কয়েকটি সবজির দাম বেড়ে গেছে। এর মধ্যে রয়েছে বেগুন, শসা, করলা, বরবটি ও ঢেঁড়স।

এদিন প্রতিকেজি টমেটো ১০-১৫ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, শিম ৪০ টাকা, মূলা ১৫ টাকা, কাঁচামরিচ ৫০ টাকা, ধনিয়াপাতা ৬০ টাকা, লাউ প্রতিপিস ৩০ টাকা, গাঁজর ৩০ টাকা, আলু ১৫-২০ টাকা, প্রতি জোড়া বাঁধাকপি ও ফুলকপি ১৫ টাকা, শসা ৬০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, লাল শাক, পালং শাক ও ডাঁটা শাক দুই আঁটি ১৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

সবজির সরবরাহ থাকলেও কিছু সবজির দাম বাড়তিআমদানি করা রসুনের বাজারেও স্বস্তি নেই ক্রেতাদের। কেজিপ্রতি ৮০ টাকা দরে বিক্রি হওয়া আমদানি করা রসুন এ সপ্তাহে এসে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। এছাড়া দেশি রসুন ৬০-৭০ টাকা, চিনি ৫৫-৬০ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১০০-১২০ টাকা ও আমদানি করা মসুর ডাল ৬০ টাকা কেজি করে বিক্রি হচ্ছে।

যাত্রাবাড়ী কাঁচাবাজারে ছুটির দিনে সাপ্তাহিক বাজার করতে আসা ক্রেতা মামুন ও রিপন বাংলানিউজকে জানান, বাজারে কোনো পণ্যই এখন খুব বেশি ক্রেতাদের হাতের নাগালে নেই। পেঁয়াজ, চাল ও বেশ কয়েকটি সবজির দাম ক্রেতাদের অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দিন দিন মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতারা নাজেহাল।

মাছ ও মাংসের দামও রয়েছে গত সপ্তাহের মতোই। প্রতিকেজি কাতল মাছ ২২০ টাকা, পাঙ্গাশ ১২০ টাকা, রুই ২৩০-২৮০ টাকা, সিলভারকার্প ১৩০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০ টাকা, শিং ৪০০ টাকা ও চিংড়ি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া প্রতিকেজি গরুর মাংস ৪০০-৪৫০ টাকা, খাসির মাংস ৭০০-৭৫০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগি ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সোনালি মুরগি প্রতিপিস সাইজ অনুযায়ী ১৫০-২২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১১৮ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০১৮
এমএসি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।