ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ঝাঁজ কমেছে না পেঁয়াজে, চালেও অস্বস্তি 

মনি আচার্য্য, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮০২ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০১৮
ঝাঁজ কমেছে না পেঁয়াজে, চালেও অস্বস্তি  সবজিতে দাম কমছে, তবে বেড়েই চলছে চালে। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: বাজার দরে এখন স্বস্তি বিরাজ করছে সবজিতে। কিন্তু ক্রেতাদের জন্য স্থায়ী অস্বস্তিতে পরিণত হয়েছে নিত্যপণ্য চাল। আর সরবরাহ বাড়লেও ঝাঁজ যেন কমতেই চাইছে না বাঙালি রসনার অন্যতম অনুষঙ্গ পেঁয়াজেরও! 

চাল ও পেঁয়াজ-এই দুই পণ্যের উচ্চমূল্য এখন যেন স্থায়ী বাড়তি দামেই গিয়ে ঠেকেছে। ফলে প্রতিদিনই নিত্যপ্রয়োজনীয় এই দুইটি পণ্য কিনতে প্রতিনিয়তই অস্বস্তিতে পরতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা।

 

বৃহস্পতিবার (০৮ মার্চ) রাজধানীর মিরপুরের ১০ নম্বর ও ৬ নম্বর কাঁচা বাজার ঘুরে এবং ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমনটা জানা গেছে।  

বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৭৩ টাকা, ১ নম্বর মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা, সাধারণ মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৬২ টাকা, বিআর-২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা ও স্বর্ণা এবং পারিজা ৪৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।  
এদিকে খুচরা মূল্য অনুযায়ী, দেশি পেঁয়াজের বিক্রয় মূল্য ৫০ টাকা ও আমদানি করা পেঁয়াজ ৪৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। এক্ষেত্রে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় ৫ টাকা কমলেও তা এখনও স্বাভাবিক হয়নি বলেই মনে করেন ক্রেতারা।  

এই দুই বাজারে বাজার করতে আসা দুই ক্রেতা মিঠুন আর সুজনের অভিযোগ পেঁয়াজ ও চল নিয়ে। তাদের ভাষ্য, পেঁয়াজের কেজি ৫০ টাকা চালের কেজি ৬০ টাকা করে চলছে। তাহলে একটি মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র পরিবার চলবে কি করে? 

‘এই শহরে জীবনমান এমনিতেই অনেক বেশি। এর মধ্যে যদি বাজারের এই অবস্থা হয় তাহলে তো চলা মুশকিল। ’

চালের বাড়তি দাম বিষয়ে মিরপুর ১০ নম্বর বাজারের বিক্রেতা জয়নাল মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, নতুন মৌসুমের চাল না আসলে কিভাবে দাম কমবে? বাজারে যে পরিমাণে চালের যোগান রয়েছে তা দাম কমার জন্য যথেষ্ট নয়। এই বিষয়টি ক্রেতা বিক্রেতা এমনকি সরকারও জানে। তাই দাম আদৌ কোনো দিন এর থেকে খুব বেশি কমবে কিনা সন্দেহ আছে!

আর পেঁয়াজের বিষয়ে মিরপুর ৬ নম্বর কাঁচাবাজারের খুচরা বিক্রেতা মহসিন বলেন, সত্যি কথা বলতে যে পেঁয়াজের দাম ৫০-৪০ টাকার নিচে আর যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। একটি পণ্যের দাম দীর্ঘদিন ধরে বেড়ে থাকলে আগের দামে কোনোদিনই ফিরে আসে না। হয়তো মাঝেমধ্যে ৫ থেকে ১০ টাকা কমতে পারে, তবে এর বেশি নয়।

গত কয়েক সপ্তাহের মতো চলতি সপ্তাহেও সবজির দর ক্রেতাদের বেশ স্বস্তি দিয়েছে। খুচরা বাজারে প্রতিকেজি টমেটো ১০-১৫ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, শিম ৪০ টাকা, মুলা ১৫ টাকা, কাঁচামরিচ ৮০ টাকা, ধনিয়াপাতা ৫০ টাকা, লাউ প্রতিপিস ২০ থেকে ৪০ টাকা, গাজর ৩০ টাকা, আলু ২০ টাকা, প্রতি জোড়া বাঁধাকপি ও ফুলকপি ২৫ টাকা, শশা ৫০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা ও ঢেঁরস ৬০ টাকা, লাল শাক, পালং শাক ও ডাটা শাক ৩ আঁটি ২০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

এ সপ্তাহে বাজারে কেজিপ্রতি আমদানি করা রসুন ১০০ টাকা, দেশি রসুন ৬০, চিনি ৫৫-৬০ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১০০ টাকা ও আমদানি করা মসুর ডাল ৭০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে মাছ ও মাংসের দামও রয়েছে গত সপ্তাহের মতোই। মাছের সর্বশেষ বাজার খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিকেজি কাতল মাছ ২২০ টাকা, পাঙ্গাস  ১২০ টাকা, রুই ২৩০-২৮০ টাকা, সিলভার কার্প ১৩০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০ টাকা, শিং ৪০০ টাকা ও চিংড়ি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া প্রতিকেজি গরুর মাংস ৪০০-৪৫০ টাকা, খাসির মাংস ৭০০-৭৫০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগি ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সোনালি মুরগি প্রতি পিস সাইজ অনুযায়ী ১৫০-২২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০১৮
এমএসি/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।