ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১০ আশ্বিন ১৪৩২, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৭

অর্থনীতি-ব্যবসা

বাড়তি দামে স্থিতিশীল বাজার

মাসুদ আজীম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫:৫৫, মার্চ ২৪, ২০১৮
বাড়তি দামে স্থিতিশীল বাজার মিরপুর ১ নং বাজারে সবজির দরদাম করছেন ক্রেতা/ছবি- শাকিল

ঢাকা: দফায় দফায় কয়েক সপ্তাহ ধরে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য বৃদ্ধির পর স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে বাজার। রমজান মাসকে কেন্দ্র করে পণ্যের দাম বেড়েছে এবং সহসাই এই বাড়তি মূল্য কমার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে মনে করছেন খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা।

শনিবার (২৪ মার্চ) রাজধানীর মিরপুর-১, মিরপুর-১০, শেওড়াপাড়া, মহাখালী ও বাড্ডা এলাকার বাজার ঘুরে এ চিত্র পাওয়া গেছে।  
 
রাজধানীর বাজারগুলোতে ঘুরে সর্বশেষ খুচরা মূল্য অনুযায়ী, নাজিরশাইল চাল ৬৬, মিনিকেট (মানভেদে) ৬৩ থেকে ৬৬, পাইজাম ৬৬, বিআর-২৮ ৫৩ থেকে ৫৬, স্বর্ণা ও পারিজ ৪৫, দেশি মশুর ডাল ১০০ থেকে ১২০, দেশি পিঁয়াজ ৪০, আমদানি পেঁয়াজ ৩০,  আমদানি রসুন ১১০ থেকে ১২০, দেশি রসুন ৯০ থেকে ১০০, চিনি  ৬০ এবং আদা ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে।

   

এদিকে সবজির খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিকেজি গাজর ৩০, আলু ১৫ থেকে ২০, টমেটো ২০ থেকে ৩০, পটল ৫০, কাঁচাকলা হালি ২৫, কচুর লতি ৬০, পেঁপে ৩০, বেগুন ৪০, শিম ৩০ থেকে ৫০, মূলা ২০ থেকে ২৫, কাঁচামরিচ ৬০, ধনিয়াপাতা ১৫০, ঢেঁড়স ৪০ থেকে ৫০, বেগুন ৩০ থেকে ৪০, বরবটি ৫৫, কচুরমুখি ৫০, চিচিঙ্গা ৪০, করলা ৪০ থেকে ৫০, শশা ৪০ দরে বিক্রি হচ্ছে।  

এছাড়া লাউ প্রতিপিস ২০ থেকে ৩০, প্রতিপিস বাঁধাকপি ও ফুলকপি ৩০, লেবু হালি ২৫, লাল শাক, পালং শাক ও ডাটা শাক ৩ আঁটি ১৫ থেকে ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাছের সর্বশেষ খুচরা বাজার অনুসারে, প্রতিকেজি কালিবাউস ২২০, কাতল ২৫০, পাঙ্গাশ  ১০০, রুই ২৮০, সিলভারকার্প ১৫০, তেলাপিয়া ১২০ থেকে ১৫০, শিং ৩০০ থেকে ৩৫০ ও চিংড়ি ৪৫০ থেকে ৫০০, ইলিশ (আকারভেদে) ৩২০ থেকে ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

প্রতিকেজি গরুর মাংস ৪৫০ থেকে ৪৮০, খাসির মাংস ৭০০-৭৫০, ব্রয়লার মুরগি ১৩৫ ও দেশি মুরগি ১৫৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

তবে কাঁচাবাজারগুলোর তুলনায় রাজধানীর অলিগলিতে ভ্যানে বিক্রি হওয়া সবজি কেজিপ্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা বেশিতে বিক্রি হতে দেখা হেছে। এছাড়া এলাকাভেদে বিভিন্ন বাজারের দামে ৫ থেকে ১০ টাকার পার্থক্যও লক্ষ্য করা গেছে। যেমন- মিরপুরের এলাকাগুলোর  বাজারের চেয়ে মহাখালী ও বাড্ডা এলাকায় পণ্যের বাজারদর বেশি।  

মিরপুর-১ বাজারের পাইকারি সবজি বিক্রেতা জীবন জানান, এই বাজারে অন্যান্য বাজারের তুলনায় কম দামে পণ্য পাওয়া সম্ভব। পাইকারি বাজারগুলোতে দাম সাধারণত কম থাকে বা সঠিক দামে পাওয়া যায়। পাইকারি বাজার থেকে সবজিসহ অন্যান্য পণ্যের পরিবহন খরচের কারণে দাম কিছুটা বেড়ে যায়।

মহাখালী কাঁচাবাজারের খুচরা বিক্রেতা আমিনুল ইসলাম জানান, ভ্যান ভাড়া এখন বাড়তি। এ কারণে পাইকারি বাজারের তুলনায় খুচরা বাজারে পণ্য ভেদে ৫ থেকে ১০ টাকার পার্থক্য হয়ে থাকে। এছাড়া বাজারে সবজির চালান এখন কম। কিন্তু চাহিদা বেশি। আবার অনেক পাইকারি সবজির বস্তার ভেতরে পচে যাওয়া সবজি থাকে। যে কারণে আমাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতেও অনেক সময় দাম বাড়াতে হয়।

মিরপুরের শেওড়াপাড়ার কাঁচাবাজারে সবজি কিনতে আসা ইমন বাংলানিউজকে জানান, সব কিছুর দাম খুব বেশি ওঠানামা করছে। তবে গত সপ্তাহের সঙ্গে এ সপ্তাহে বাজারদরের কিছুটা মিল থাকলেও দাম তো অনেক বেড়েই থেমেছে। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র সরকারের মনিটরিংয়ের মাধ্যমে এই দাম নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। আর রমজানকে কেন্দ্র করে দাম আরও বাড়বে। এর চেয়ে দাম বাড়লে তা ক্রেতার ক্রয়সীমার বাইরে চলে যাবে।

নতুনবাজার এলাকার মুদি দোকানদার ইসমাইল বাংলানিউজকে বলেন, দাম এখনও পুরোপুরি বাড়েনি, আংশিক বেড়েছে। তবে এই দফায় আর নাও বাড়তে পারে।  

দাম বাড়ার পেছনে পাইকারি ব্যবসায়ীরা মাল গুদামজাত করে রাখাকে কারণ হিসেবে মনে করছেন এ খুচরা বিক্রেতা। তবে বরাবরের মতো বিষয়টি অস্বীকার করেছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা।         

বাংলাদেশ সময়: ১১৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১৮
এমএএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।