ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

উন্নয়নশীল দেশের যোগ্যতা অর্জন বিরোধীদের চপেটাঘাত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৮
উন্নয়নশীল দেশের যোগ্যতা অর্জন বিরোধীদের চপেটাঘাত সেমিনারে বক্তব্য রাখেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের যোগ্যতা অর্জনে যারা বিরোধীতা করেছিলো তাদের চপেটাঘাত করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। 

রোববার (২৫ মার্চ) কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

‘এলডিসিভুক্ত দেশ হতে বাংলাদেশের উত্তরণ: নৌ পরিবহন সেক্টরে অর্জিত সাফল্য’  চলমান কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়।

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, এক সময় বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুঁড়ি বলা হতো। অর্থনীতিবিদরা বলেছিলো, বাংলাদেশ দরিদ্র দেশের মডেল। কিন্তু বাংলাদেশ সব কিছুকে মিথ্যা করে উন্নয়নশীল দেশের যোগ্যতা অর্জন করেছে। জাতিসংঘ, বিশ্বব্যাংক, এডিবিসহ বিশ্ব আজ বাংলাদেশের প্রসংশা করছে। সেখানে ছোট মনের দল, রাজনীতিবিদরা সমালোচনা করে যাচ্ছে। যারা দেশকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেছিলো, উন্নয়নে বাধা দিয়েছে অর্থাৎ উন্নয়নশীল দেশের খেতাব অর্জন করায় তাদের মুখে চপেটাঘাত করা হয়েছে।

‘আমরা ক্ষমতায় থাকলে ১০ বছর আগে দেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিনত হতো' বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের এমন বক্তব্যের জবাবে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ১৯৯৬ সালে আমরা ক্ষমতায় আসার পর বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছিলো, প্রবৃদ্ধি বেড়েছিলো। কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর এসব কমে যায়। যারা উপর থেকে নিচে নামায় তাদের দিয়ে উন্নয়ন হয় না।  

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, অনেকেই বলছে, উন্নয়নশীল খেতাব ধরে রাখা চ্যালেঞ্জ তাদের বলছি, মুক্তিযুদ্ধ ছিলো সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। আজকে আমাদের সামনে সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। চ্যালেঞ্জ নিয়ে এ সম্ভবনার পথ ধরে ২০৪১ সালে উন্নত দেশে পরিণত হবো।  

সেমিনারে নদী পথের নাব্যতা রক্ষায় ড্রেজিং কার্যক্রমের অর্জিত সাফল্য, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং চ্যালেঞ্জ, দেশের সমুদ্র বন্দর, নদী বন্দর, স্থল বন্দর ব্যবস্থাপনায় অর্জিত সাফল্য ও চ্যালেঞ্জ দেশের নৌপথ এবং নৌযানের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার বিধি-বিধান বিষয়ে তিনটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়।  

এ সময় জানানো হয়, এক সময় দেশে ২৪ হাজার নদী পথ ছিলো। অনেক নৌপথ হারিয়ে গেছে। হারিয়ে যাওয়া নৌপথের মধ্যে ১ হাজার ৩০০ নৌপথ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে আমরা ২৪ হাজার নৌপথ পুনরুদ্ধার করতে চাই। এ লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। রুপকল্প ২০২১ এবং ২০৪১ হাতে নিয়ে কাজ করছি। নৌ মন্ত্রণালয়ে দু'টি প্রকল্প চলমান রয়েছে। এতে করে অনেক নদী তার নাব্যতা ফেরত পাবে।  

এছাড়া, নদী ও নৌপথের সাফল্যের উল্লেখযোগ্য অর্ধশতাধিক স্থিরচিত্র ও ভিডিও ক্লিপ প্রর্দশন করা হয়।

নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. আব্দুস সামাদ, প্রধানমন্ত্রীর এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৮
এমসি/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।