ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

আগামী অর্থবছরে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ৭ দশমিক ৮ শতাংশ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৭ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৮
আগামী অর্থবছরে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ৭ দশমিক ৮ শতাংশ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

মেঘনাঘাট (নারায়ণগঞ্জ) থেকে ফিরে: সরকারের ধারাবাহিকতার কারণে অর্থনৈতিক প্রবিদ্ধ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

তিনি বলেন, এ অর্থ বছরে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল সাত দশমিক চার শতাংশ। আশা করছি সে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে সাত দশমিক পাঁচ শতাংশে পৌঁছাব।

এছাড়া আগামী অর্থবছরে আমরা অনেক সর্তকতার সঙ্গে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি। এবার আমাদের টার্গেট সাত দশমিক আট শতাংশ।

শনিবার (৩১ মার্চ) মেঘনাঘাট, সোনারগাঁও, নারায়ণগঞ্জে বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন কর্তৃপক্ষ (বেজা) কর্তৃক বাংলাদেশের সর্বপ্রথম বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলের লাইসেন্সপ্রাপ্ত মেঘনা ইকোনমিক জোনের ৫টি শিল্প প্রতিষ্ঠানের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, রেলপথমন্ত্রী মজিবুল হক।

এছাড়া অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- এফবিসিসিআই’র সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, এসডিজি বাস্তবায়নের মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ ও বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী।

অর্থমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার ৪৭ বছরে আমাদের সত্যিকারের শিল্পায়ন হয়নি। আমরা এতোদিন শুধু গাড়ির পেইন্টিং করা শিখেছি। বর্তমানে কিছু কিছু ক্ষেত্রে শিল্পায়ন হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমরা প্রায়াশই বলি অর্থনৈতিক উন্নয়নে সবকিছু করা হবে, আসলে বাস্তবে দেখা যায় অনেক কিছুই বাস্তবায়ন হয় না। আমাদের অবকাঠামো সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত হয় না। যে কারণে শিল্প প্রসারে ওভাবে অগ্রসর হয়নি।

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল বলেন, ইকোনমিক জোনের অনুমতিপ্রাপ্ত হয়ে ইতোমধ্যে দু’টি জোনে তিন হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে আটটি নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছি। যেখানে পাঁচ হাজার লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আরো ১০টি শিল্প প্রতিষ্ঠান বর্তমানে নির্মাণাধীন রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে অপারেশন শুরু হলে প্রায় এক লাখ লোকের কর্মসংস্থানের সযোগ সৃষ্টি হবে।

এছাড়া চীন, অস্ট্রেলিয়া এবং জার্মানীর শিল্পোদ্যাক্তাগণের সঙ্গে নতুন নতুন শিল্প স্থাপনের আলোচনা এগিয়ে চলেছে এবং অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত টিআইসি’র সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী মেঘনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনমিক জোনে ১২ একর জমির ওপর নতুন কারখানা নির্মাণাধীন রয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন কর্তৃপক্ষ ও সরকারের সহায়তা অব্যাহত থাকলে আগামী দুই/তিন বছরের মধ্যে বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের মাধ্যমে আরো তিনটি নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করে বাংলাদেশকে শিল্প সমৃদ্ধ দেশে রুপান্তরের প্রচেষ্টা গ্রহণ করবেন। এজন্য তিনি সরকারের অব্যাহত সহায়তা কামনা করেন।

সরকারের তিনজন প্রভাবশালী মন্ত্রী মেঘনা গ্রুপের শিল্প প্রতিষ্ঠান ঘুরে নিজেদের অভিপ্রায় ব্যক্ত করে বলেন, মেঘনা গ্রুপ সরকারের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। আজ তাদের বিশাল কর্মযজ্ঞ দেখে আমরা অভিভূত। এ রকম বেসরকারি সংস্থা এগিয়ে এলে আমরা তাদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করবো।

অর্থমন্ত্রীসহ অন্য অতিথিদের নিয়ে মেঘনা পাল্প অ্যান্ড পেপার মিলস লিমিটেড, মেঘনা এডিবল অয়েলস রিফাইনারী লিমিটেড, এমপিপি পাওয়ার প্লান্ট লিমিটেড, সোনারগাঁও ফ্লাওয়ার অ্যান্ড ডাল মিলস লিমিটেড, তাসনিম কেমিক্যাল কমপ্লেক্স ইউনিট-২ লিমিটেড এবং মেঘনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনমিক জোনে তিনটি শিল্প প্রতিষ্ঠান যেমন মেঘনা বেভারেজ লিমিটেড, ইউনিক সিমেন্ট ফাইবার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এবং সোনারগাঁও স্টিল ফেব্রিকেট লিমিটেডের উদ্বোধন করা হয়।
 
বাংলাদেশ সময়: ২১২৪ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৮
এসএম/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।