ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বছর শেষে প্রবৃদ্ধি হবে ৭ শতাংশ: এডিবি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৪৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৮
বছর শেষে প্রবৃদ্ধি হবে ৭ শতাংশ: এডিবি এডিবির সংবাদ সম্মেলন/ছবি: ডি এইচ বাদল

ঢাকা: ২০১৭-১৮ অর্থবছরের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি)প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এশিয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। সংস্থাটি বলছে, অর্থনৈতিক অগ্রতির ক্ষেত্রে সঠিক পথেই এগুচ্ছে বাংলাদেশ। পরপর তিন বছর ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি এটারই প্রমাণ।

বুধবার (১১ এপ্রিল) আগারগাঁওয়ের এডিবির কার্যালয়ে এডিবি’র প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সুন চ্যান হং। প্রতিবেদনে বাংলাদেশের সামগ্রীক অর্থনীতির বিষয়গুলো উপস্থাপন করা হয়েছে।

জিডিপির প্রবৃদ্ধি নিয়ে সরকার, বিশ্বব্যাংক ও এডিবি তিন রকম হিসাব দিয়েছে। এর মধ্যে সরকারি প্রাক্কলন অনুযায়ী এবার প্রবৃদ্ধি হবে ৭.৬৫ শতাংশ। আর বিশ্বব্যাংকের হিসেবে এটি হবে ৬.৫ শতাংশ। যদিও সরকার বলছে উন্নয়ন সহযোগিদের প্রবৃদ্ধি বিষয়ক হিসাব একেবারেই অনুমান নির্ভর।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘অভ্যন্তরীণ ভোগ ব্যয় ও সরকারি বিনিয়োগের উপর ভিত্তি করেই প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশ হবে। এডিবি আশা ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে রফতানি আয় আরও শক্তিশালী হবে। আমদানি ব্যয় বৃদ্ধির কারণে রফতানি আয় প্রবৃদ্ধিতে যুক্ত হতে পারছে না।

এডিবির মতে প্রবৃদ্ধির গতিশীলতা ধরে রাখতে রফতানিতে বৈচিত্র্য আনতে হবে। শুধু পোশাক শিল্প ও রেমিটেন্সের উপর নির্ভরশীল হলে চলবে না। রফতানিতে পচাচামড়া, চামড়াজাত পণ্য, হাল্কা প্রকৌশলী শিল্প, ইলেক্ট্রনিক্স, ওষুধ, পাটজাত পণ্য, সফটওয়ার, আইটি খাতকেও গুরুত্ব দিতে হবে।   

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ একমাত্র দেশ যা মানবসম্পদ উন্নয়ন, মাথাপিছু আয় ও প্রবৃদ্ধিতে ভালো করেছে। গত তিন বছরে প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশের উপরে এটা কম অর্জন নয়। ২০১৬ সালে ৭ দশমিক ১, ২০১৭ সালে ৭ দশমিক ৩ এবং ২০১৮ সালের শেষে ৭ শতাংশ অর্জন অনেক ভালো।

এডিবি মনে করে বাংলাদেশের অর্থনীতি ভালোর দিকে আছে। এটা ধরে রাখা কম কথা নয়। বিশ্বের কম দেশেই আছে বাংলাদেশের মতো ঊর্ধ্বগতির প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে। মূলত কৃষি, সেবা ও শিল্পখাতের উপর নির্ভর করে প্রবৃদ্ধি। এরমধ্যে কৃষি ‍ও সেবাখাতে বাংলাদেশ ভালো করছে। তবে উন্নয়নে ধীরগতি দেখা গেছে শিল্পে। বিশেষ করে ‍উৎপাদন ও পোশাক। শিল্পখাতে প্রবৃদ্ধি বাড়াতে হলে অর্থনীতির বহুমুখীকরণ করতে হবে। প্রযুক্তিগত শিক্ষা এবং ব্যবস্থাপনা দক্ষতা বাড়তে গুণগত প্রশিক্ষণ দরকার।

এই নিয়ে সরকার, বিশ্বব্যাংক ও এডিবি জিডিপি নিয়ে তিন ধরনের তথ্য প্রকাশ করলো।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৮
এমআইএস/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।